
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য বিজেপিতে ধরছে ভাঙন। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতারা আবার বেসুরো হয়ে ঝুঁকছেন বিজেপির দিকে। ইতিমধ্যে বিজেপির দলবদলু নেতা সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এসেছিলেন।
ডোমজুড় থেকেই বিজেপির হয়ে লড়াই করে বিপুল ভোটে হেরেছেন তিনি। পদ্মফুল শিবিরের সাথে বিগত চার বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এছাড়াও মুকুল রায়ের গতকাল তৃণমূলে যোগদানের দিনেই বনগাঁর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি পদত্যাগ করেছেন। অনুমান করা হচ্ছে তিনি তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন।
আরও পড়ুন-“তৃণমূল একটা ভাঁওতাবাজি দল।”- তৃণমূলের কাছে ক্ষমা চেয়ে বোলপুরে মাইকে প্রচার করলো বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করায় মুকুল রায়কে একহাত নিচ্ছেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা। সৌমিত্র খাঁ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তাঁকে ‘মীরজাফর’ বলে উল্লেখ করেছেন।এবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী বৈশালী ডালমিয়া । গতকাল শুক্রবার একটি টুইট করেছেন বৈশালী ডালমিয়া।
এই টুইটে তিনি লিখেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী কে অনুরোধ করছি আমাদের বিজেপি থেকে সমস্ত জঞ্জাল তাড়াতাড়ি সম্ভব করা হোক। যদি এতবার দলবদল করা হয় তাহলে বিশ্বাসের আর জায়গা থাকে না। দলে উনাকে অনেক বড় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। আমাকেও আমার পুরনো সহকর্মীরা ফিরে যেতে বলছেন।
আরও পড়ুন-“আমি বিরোধী দলনেতা রয়েছি। তৃণমূল বিধায়ক ভাঙিয়ে দেখাক।”- শুভেন্দুর হুংকার এর পরেই দলবদল মুকুলের।
কিন্তু আমি ফিরে যাব না কারণ আমার বিজেপিতে কোন রকম সমস্যা নেই।”এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৈশালী ডালমিয়ার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন । তিনি বলেছেন,”এরকম সাজেশন দেওয়ার দরকার নেই। পার্টির একটা সিস্টেম রয়েছে।
পার্টি ব্যবস্থা নেবে। আমাদের পার্টির অনেকেই যারা এই সিস্টেম জানেননা তাঁরা এই ধরণের মন্তব্য করছেন।”