
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা দেশ জুড়ে ভয়াবহ সন্ত্রাস চালাচ্ছে কোভিড ১৯। এই মহামারি এখনো পর্যন্ত প্রাণ নিয়েছে কোটি কোটি মানুষের। পশ্চিমবঙ্গের বুকেও যথেষ্ট ভয়াবহ সন্ত্রাস চালাচ্ছে এই ভাইরাস । প্রতিদিনই মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য মানুষের।
এখনো পর্যন্ত সারা দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষণা করেছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই যাতে সমস্ত মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়। ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে বাংলার মাটিতে। অনেকেই ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনের ২ টি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন আবার অনেকেই এখনো পর্যন্ত একটামাত্র ডোজ পেয়েছেন ।
আরও পড়ুন-১৭৩ রকমের দেশলাই বাক্স সংগ্রহ করে বিশ্বরেকর্ড করলো দেগঙ্গার ছাত্র।
এরকমই বেশ কয়েকজন ব্যক্তির দেখা মিলেছে যারা ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার পরেই তাঁদের শরীর চুম্বকে রূপান্তরিত হয়েছে। গত জুনের ৭ তারিখে কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন শিলিগুড়ির নেপাল চক্রবর্তী। তিনি পেশায় অবসরপ্রাপ্ত গাড়ি চালক। তিনি বাড়িতে টিভি দেখার সময় টিভিতে দেখছিলেন যে, নাসিকের এক ব্যক্তি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই তাঁর শরীরে আটকে যাচ্ছে ধাতব সমস্ত পদার্থ।
টিভিতে ওই দৃশ্য দেখে কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে নিজের শরীরেও এই বিষয়টি পরীক্ষা করতে শুরু করে দেন তিনি। বাড়ির চামচ নিয়ে শরীরের কাছাকাছি আনতেই তা আটকে যায় তাঁর শরীরে। এই ঘটনায় হঠাৎ তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন।নদিয়ার পলাশীপাড়াতেও প্রবীর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির শরীরে চামচ, ব্লেড আটকে যাচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বারণসীতে একাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিলেন ১২৫ বছরের শিবানন্দ।
এছাড়াও কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে সুবীর কুন্ডু নামে এক ব্যক্তির শরীরেও ধাতব বস্তু আটকে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কারো শরীরে পেসমেকার বসানো নেই বলে জানা গিয়েছে। তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই এই কান্ড ঘটছে।এই প্রসঙ্গে ডক্টর শঙ্খ সেন বলেছেন,”ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সেটা কখনোই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন-“বাড়িতে বসে মাইনে নিতে লজ্জা করছে।”- ছেলের পরামর্শের অ্যাম্বুলেন্স দান করলেন এক শিক্ষিকা।
বর্তমানে দেশে যে ভ্যাকসিন গুলি পাওয়া যাচ্ছে তাতে চুম্বক জাতীয় কোনোরকম উপাদানের উপস্থিতি নেই। কিন্তু নেপাল চক্রবর্তী এবং অন্যান্যরা যে দাবি করছেন এবং তাদের শরীরে যে সমস্ত চৌম্বক পদার্থ আটকে যাচ্ছে সেই অবস্থায় বলা যায় তাঁদের শরীরে আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা দরকার।”