
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরার মাটিতে আগামী ২০২৩ এর বিধানসভা ভোটে নিজেদের সর্বময় কর্তৃত্ব স্থাপনে তৎপর হয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই লক্ষ্যে ত্রিপুরার মাটিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন এবং যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। কিন্তু দেবাংশুদের উপরে আক্রমণ করেছে ত্রিপুরার বিজেপি কর্মীরা। এছাড়া দেবাংশু সহ তৃণমূলের যুব নেতারা বিক্ষোভ দেখালে মহামারি আইনের আওতায় তাঁদের গ্রেফতার করেছিলো ত্রিপুরা পুলিশ।
দোলা সেন, সুদীপ রাহা এদের শরীরে আঘাত লেগেছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ত্রিপুরার খোয়াই থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রীতিমতো পুলিশ কর্তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর পরেই ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান দেবাংশুরা।
এরপরেই তাঁদের নিয়ে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূলের নেতা সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত প্রমুখেরা। গতকাল সকালে ঝাড়খন্ড রওনা হওয়ার আগে এসএসকেএমে জয়া, সুদীপদের দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গতকালের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ত্রিপুরা ইস্যুতে সুর চড়িয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন,”যে রাজ্যে আইনজীবীরা কোর্টে আসতে পারেন না, সেই রাজ্য আর যাই হোক গণতান্ত্রিক রাজ্য হতে পারে না।
নির্বাচন কমিশন, ভাঙ্গা গাড়ি গুলো দেখে যান। এত যে রক্তারক্তি হয়েছে সেই বিষয়ে কথা বলুন। মাথা ফাটলো সেই বিষয়ে কথা বলুন। আজ খোয়াইতে যে ছেলেটিকে মাথায় মারা হয়েছে সে এক্স রে করাতে যাচ্ছে, তার সাথে কথা বলুন। বিজেপির অধিকার কমিশন, দালাল কমিশন অবিলম্বে আপনারা ত্রিপুরায় আসুন।
আরও পড়ুন-“ত্রিপুরা দখল তৃণমূলের অলীক স্বপ্নই থেকে যাবে।”- এবার সুর চড়ালো ত্রিপুরা বিজেপি।
যদি আপনারা নিরপেক্ষ হন, যদি আপনাদের মেরুদন্ড থাকে তাহলে অবিলম্বে ত্রিপুরা আসুন। আমরা আপনাদের তালিকা দেবো। আপনারা দেখুন কি ধরণের গুন্ডারাজ চলছে ত্রিপুরার মাটিতে।”এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ না থাকলে বিপ্লব দেবের এত সাহস হতো না তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করার।”