
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরার মাটিতে গত শনিবার থেকে যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার আগামী ২০২৩ এর ভোটে বিজেপি সরকারের পতন নিশ্চিত করতে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীরা সমীক্ষা চালিয়ে এসেছে ত্রিপুরার মাটিতে। গত শনিবার থেকেই ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে।
তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত দের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। দেবাংশু দের গ্রেফতার করেছিলো ত্রিপুরা পুলিশ। খোয়াই থানায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক দের সাথে। এছাড়াও তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কুনাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুরা ।
আরও পড়ুন-“সিপিএম অনেক চেষ্টা করেও পারেনি”- ত্রিপুরার বিপ্লব দেব প্রশাসনকে কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের
এই আবহে আবার খোয়াই থানা কুণাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।এই আবহের মধ্যে একটি পড়ার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ডেকে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে , ত্রিপুরার মাটিতে দিন দিন যেভাবে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে, সেই মর্মে বিপ্লব দেবের সাথে পর্যালোচনা করার জন্যেই তাঁকে দিল্লি তলব করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনটাই দাবি করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন-আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের সম্ভাবনা প্রবল
আগামী ২০২৩ এর ভোটে ত্রিপুরার মাটিতে কি রণকৌশল অবলম্বন করতে চলেছে বিজেপি সেই বিষয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার একটা আভাস রয়েছে।এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় আগামী ২০২৩ এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করছেন। ত্রিপুরার মাটিতে বারবার আসা যাওয়া করছেন বাংলার তৃণমূল নেতারা। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থিত ত্রিপুরার মাটিতে টিকিয়ে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।