
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনৈতিক আঙিনায় যথেষ্ট বিতর্কের সূত্রপাত করেছে ত্রিপুরা কান্ড। ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপি কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ অনেকেই। এরপরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন দেবাংশুরা।
ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো দেবাংশু দের।
পুলিশ অভিযোগ করেছিল যে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বিধিনিষেধ আইন লঙ্ঘন করেছে। খোয়াই থানায় পুলিশ আধিকারিক দের সাথে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতারা।পুলিশ আধিকারিক দের সাথে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ব্রাত্য বসু, কুনাল ঘোষ, এবং দোলা সেনরা । এরপরেই জামিন পান দেবাংশু রা।
কলকাতায় ফিরেছেন তারা। দেবাংশুর তেমন আঘাত না লাগলেও সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত আহত হয়েছেন। কলকাতার এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছেন সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত।গতকাল সুদীপ রাহাকে দেখতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
গতকাল উডবার্ন ওয়ার্ডে গিয়ে সুদীপের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বলেছেন, “বিজেপি হল একটা শয়তান দল। বিজেপিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের কর্মীদের উপরে হামলায় জবাবদিহি করতেই হবে।”এদিকে আজ এসএসকেএমে সুদীপ রাহাদের দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রন জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুদীপ, জয়াদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন, এছাড়াও চিকিৎসকদের সাথেও কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তারপরেই বলেছেন,”যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরই আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। বাইরে থেকে যারাই ত্রিপুরা যাচ্ছেন তাদেরকেই আক্রমণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, গ্রেফতারির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু আমরাও পিছিয়ে যাওয়ার লোক নই, আমরাও শেষ দেখে ছাড়বো।”
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী কার্যত বুঝিয়ে দিলেন যে, আগামীদিনে ত্রিপুরার মাটিতে আরও জোরদার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।