
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে খুব শীঘ্রই উপনির্বাচন চাইছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এই আবহের মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজ্যের এই উপ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্রিয় হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এখনো ততটা সক্রিয় নেই।
এই আবহের মধ্যে গতকাল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে এসেছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে গিয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জাভেদ খান , শশী পাঁজা সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখেরা।তারা সকলেই মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে বলেছেন যে বর্তমানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই এই আবহের মধ্যে সহজেই উপনির্বাচন করানো যেতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল বারবার আবেদন জানিয়েছে রে এক সপ্তাহ প্রচারের জন্য সময় দিলেই এই উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পাদন হয়ে গিয়ে যাবে। এই আবহে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন যে ,”একুশের বিধানসভা ভোটের সময় গত এপ্রিল মাসে, এই ভয়াবহ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বহু লোক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এই আবহের মধ্যে আমরা বারবার অনুরোধ করেছিলাম যে দফা কমানোর জন্যই। কিন্তু সেই দিকে কর্ণপাত করেনি নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-ভ্রান্ত খবর দিয়ে উত্তেজনা তৈরির অভিযোগে পুলিশী জেরার মুখে পড়লেন অগ্নিমিত্রা পল
কিন্তু এখন নির্বাচনের যথেষ্ট অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে বাংলার মাটিতে । তাই বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণের হার যথেষ্ট কম থাকায় কড়া কোভিড বিধি মেনে সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হতে পারে।পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বলেছেন যে উপনির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে তারা বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বাংলায় উপ নির্বাচনের বিষয়ে ততটা সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না।” রাজ্যের দুটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন হবে এমনটাই স্থির রয়েছে।
আরও পড়ুন-“পর্যুদস্ত হবে তৃণমূল”- নিজের কেন্দ্রে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মুকুল রায়
গতকাল এই মর্মে বিজেপি প্রতি আক্রমণ শানিয়ে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যে,”যারা গণতন্ত্র রক্ষা করার বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতেই দুশ্চিন্তায় পর্যবসিত হয়েছেন। এখন তাঁরা ভোটের নামে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন।”দেশের সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে ছয় মাসের মধ্যে কোন একটি উপনির্বাচনে জিতে ফেরত আসতে হবে যার ফলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্ব বজায় থাকবে। কারণ নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোট পর্বের লড়াইয়ে হেরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাই আইনানুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে যে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করতে হবে যার ফলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্ব বজায় থাকবে।