নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচবিহারের শীতলকুচি তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় উথালপাথাল হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে উস্কানি মূলক মন্তব্যের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নোটিশ পাঠিয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে, আগামী ৪৮ ঘন্টা বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার জনসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২৪ ঘন্টার জন্য।
নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যত বড় হেভিওয়েট প্রার্থীই হোক না কেন , আইন কানুন এর উর্ধ্বে কেউ নয়। কমিশন বলেছে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের জন্য সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ বেলা ১২ টা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনুসরণ করতে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিকে শীতলকুচি কাণ্ডে আবার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।অভিষেক বলেছেন,”চতুর্থ দফার নির্বাচন চলাকালীন অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি তে ।
আরও পড়ুন-“এনআরসি নিয়ে গোর্খাদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল”- জনসভা থেকে বললেন অমিত শাহ
৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে বুলেটে। এই ঘটনায় বিজেপির উচিত ছিল নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানানো এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই কাজের প্রতি ধিক্কার প্রদর্শন করা, কিন্তু দিলীপ ঘোষ বলেছেন জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। অর্থাৎ আমি একটা কথাই আপনাদের বলতে চাই যারা বাঙ্গালীদের প্রাণের বিনিময়ে সোনার বাংলা গড়ার কথা বলছে আপনারা কি তাদের কেই ভোট দিতে চাইছেন? বাংলার মানুষকে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি করে খুন করেছে।
তারা বহিরাগত শক্তির কাছে নিজেদের মাথা নোয়াননি। ভোটের লাইনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ঠান্ডা মাথায় তাদের উপর গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী বলছে তারা নাকি আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে, যদি আত্মরক্ষার জন্যই হয় তাহলে পায়ে গুলি করা হলোনা কেন প্রথমে? আর যারা মারা গিয়েছে তাদের হাতে কোনরকম অস্ত্রশস্ত্র ছিল না, তাহলে তারা আক্রমণ করতে এসেছিল কিভাবে? আগামী দিনে তৃণমূল সরকার বাংলার মাটিতে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করবে।”এভাবেই ময়নাগুড়ির মাটিতে জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন অভিষেক।