নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে রাজ্যের বুকে অব্যাহত রয়েছে হিংসা হানাহানি ঘটনা।নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই তৎপর রয়েছে ভোটের আবহে রাজ্যের মাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচন করতে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা সত্ত্বেও রাজ্যের বুকে জারি রয়েছে হিংসা হানাহানির ঘটনা। কোচবিহারের শীতলকুচি কাণ্ডে উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক আবহ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে চারজন তৃণমূল সমর্থকের ।
জওয়ানরা দাবি করেছেন যে, তিনশো থেকে চারশো জন জওয়ানদের ঘিরে ধরে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছিল, তাই প্রাণ রক্ষার তাগিদে জওয়ানরা গুলি চালিয়েছে। ওই বুথেই গুলি লেগে মারা গিয়েছে আনন্দ বর্মন নামে এক তরুণ। আনন্দ বর্মনের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
শীতলকুচিতে ৪ জন তৃণমূল সমর্থক দের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রবিবার রাজ্যে কালা দিবস পালন করেছে তৃণমূল। বর্ধমানের রোড শোতে গলায় কালো উত্তরীয় এবং হাতে মোমবাতি নিয়ে রোড শো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বর্ধমান পুলিশ লাইন থেকে শুরু করে বর্ধমান স্টেশন পর্যন্ত এই রোড শো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাথে যোগ দিয়েছে প্রচুর সংখ্যক অনুগামীরা।
আরও পড়ুন-শীতলকুচির কাণ্ডের বিষয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর পেয়েই আগে থেকেই কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে নেমেই সোজা চলে যান রোড শো’তে। তার আগে উত্তরবঙ্গের মাটিতেও দুটি জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই রোড শোতে অগণিত মানুষের ঢল নেমেছিলো। রোড শো’তে ঢাকের বাদ্যির সাথে সাথে স্লোগানে মুখরিত হচ্ছিলো চারিদিক।
হুইল চেয়ারে বসেই জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিকে শীতলকুচির এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে উস্কানিমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন। উনার রোড শো এবং প্রচার সভায় অবিলম্বে বন্ধ করা উচিৎ।”