
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার মাটিতে বিজেপির জয়রথ আটকে দেওয়ার পরেই এবার বাংলার বাইরে শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। এই লক্ষ্যে এবার ত্রিপুরার মাটিতে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতা নেত্রুরা ত্রিপুরার মাটিতে উপস্থিত হচ্ছে। এর মধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীরা সমীক্ষা চালিয়ে এসেছে ত্রিপুরার মাটি থেকে।
গত সোমবার আগরতলা গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে বিজেপি সমর্থকদের হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা যাওয়ার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ব্রাত্য বসু, ডেরেক ও’ব্রায়েন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ, মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য প্রমুখেরা। ত্রিপুরার আগরতলা থেকে দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি লাইভ ভিডিও দেখিয়েছিলেন যে তাদেরকে দলীয় পতাকা লাগাতে দিতে বাধা দিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুন-“খেলরত্ন পুরস্কার হওয়া উচিৎ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামে”- দাবি করলেন কুণাল
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা থেকে প্রত্যাবর্তন করলেও এখনো কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ আরো বেশকিছু তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা ত্রিপুরার মাটিতেই অবস্থান করছেন।এবার আবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরার মাটিতে। জানা গিয়েছে আজ দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জয়া দত্ত প্রমুখ তৃণমূলের নেতারা ত্রিপুরার মাটিতে এলাকা পরিদর্শনে বের হয়েছিলেন। তখনই নাকি বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তাদের উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেবাংশু।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
তিনি ঘটনাস্থল থেকে লাইভ ভিডিও করে অভিযোগ করেছেন যে, পাথর ছুঁড়ে তাঁদের নাকি তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি এটাও বলেছেন যে, পাহাড় থেকে নামার সময় তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে রীতিমতো পাথর ইঁট ছোঁড়া হয়েছে। সুদীপের নাকি মাথা ফেটে গিয়েছে এবং জয়া দত্তেরও নাকি গুরুতর আঘাত লেগেছে। এছাড়াও দেবাংশু ত্রিপুরা পুলিশের উপর আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন যে, সমস্ত কিছু লক্ষ্য করেও ত্রিপুরা পুলিশ তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেনি।
এরপরেই ত্রিপুরা পুলিশের সামনে দেবাংশু মন্তব্য করেছেন যে, “আপনারা একবার বলুন যেখানে কারুর আসার অনুমতি নেই তাহলে আমরা সবাই এখানে আত্মহত্যা করব।”এই ঘটনায় আবার যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।