নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে হিংসা হানাহানি অব্যাহত রাজ্যের দিকে দিকে। প্রথম দফার ভোট শান্তিপূর্ণভাবে মিটলেও, দ্বিতীয় দফা থেকে নন্দীগ্রামে এবং রাজ্যের আরো বিভিন্ন প্রান্তে যথেষ্ট হিংসা-হানাহানি ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সবথেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি তে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আক্রমণ করার চেষ্টা করায় জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ৪ জন তৃণমূল সমর্থক এর।
আবার ওই বুথেই ভোট চলাকালীন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বোমা এবং গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে । তাদের গুলির আঘাতে মারা গিয়েছেন আনন্দ বর্মন নামক এক ভোটার। এই ঘটনায় সারা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল এই ঘটনার পরেই ৭২ ঘন্টা শীতলকুচিতে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা নেত্রীরা প্রবেশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-“আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি”- আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যাতে কোন ভয়াবহ হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন।আজ শীতলকুচির মাথাভাঙায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন নিহতদের পরিবারের সাথে। আজ দশটা নাগাদ মাথাভাঙায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
সেখানে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে যেখানে মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।গতকাল শেষ হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা। মাথাভাঙায় শহীদ মঞ্চ তৈরি হয়েছে নিহত পাঁচজনের নামে। ওই মঞ্চে নিহতদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।