
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের ত্রাণ বিলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এবার এই দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করছে কিনা তা জানতে চেয়ে আগামী ২ রা সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।একবছর আগে বাংলার মাটিতে ভয়াবহ শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিলো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে, সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছিলো।
কলকাতার বুকেও টানা চার থেকে পাঁচদিন বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা গিয়েছিলো। উত্তর ২৪ পরগণার অন্তর্গত বসিরহাটে ২ নম্বর ব্লকে পাঁচটি লরিতে করে রাজ্য সরকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে ত্রাণ পাঠিয়েছিলো। কিন্তু অভিযোগ এসেছিলো যে রাজ্য সরকারের পাঠানো সেই ত্রাণ স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়িতে মজুত করে রেখে তার মধ্যে বেশ কিছু ত্রাণ সরানো হয়েছিলো।কয়েকদিন আগেই মালতিপুর স্টেশন থেকে রাজ্য সরকারের ত্রাণ বোঝাই দুটি লরি কে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হল শুভেন্দু অধিকারীকে।
কিন্তু সেই বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট ভাবে তদন্ত শুরু হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো কলকাতা হাইকোর্ট।
আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল প্রশ্ন করেছেন,”এই ঘটনা কিভাবে ঘটেছে? রাজ্যের পাঠানোর ত্রান অন্য কারও হাতে কিভাবে চলে যায় ? পুলিশ কি তদন্ত শুরু করেছে?”
আমফানের ভয়াবহতা হেলিকপ্টারে চড়ে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত দূর্গত এলাকা গুলোতে ত্রাণ পাঠানোর এবং ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ত্রাণ বন্টন করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঝুরি ঝুরি দূর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছিলো। এই আবহের মধ্যে বহু কর্মী সমর্থক, নেতাদের বহিষ্কার করেছিলো তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধানকেও বহিষ্কার করা হয়েছিলো।