
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী। একুশের বামফ্রন্টের সাথে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করেছিলো আইএসএফ। তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের প্রতি কদর্য মন্তব্য করে যথেষ্ট বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি অবশ্য তার বক্তব্যে অনড় ছিলেন।
এবারে বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চার সাথে জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন আব্বাস । তিনি বলেছিলেন যে, এবারের বিধানসভা ভোটের মানুষ তাদের পাশে থাকবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও একুশের ভোটে কিছুটা হলেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট এবং আইএসএফ এর সংযুক্ত মোর্চাকে।এদিকে আব্বাস সিদ্দিকীর মুখে বারবার ফিরে এসেছে কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ।
তিনি বার বার বাংলা যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের দাবি উপস্থাপিত করেছেন। বারবার তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগানের বিরোধিতা করেছেন তিনি । তিনি বলেছেন, “একবারও যেন কারোর মুখে না শুনি খেলা হবে।
রাজনীতিটা কি খেলার জায়গা? আমরা শিক্ষা চাই, স্বাস্থ্য চাই, উন্নয়ন চাই, শিল্প চাই, চাকরি চাই, আমরা খেলা চাইনা।”এ হেন আব্বাসের দল আইএসএফ এবার ত্রিপুরা এবং অসমের দিকে পাখির চোখ রেখেছে। আগামী সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাস নাগাদ ত্রিপুরা এবং অসমে সফরে যেতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকী এবং নওশাদ সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় দেবাংশুর গাড়িচালক সহ একাধিক তৃণমূল নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করলো ত্রিপুরা পুলিশ।
এছাড়াও তারা উত্তরপ্রদেশের মাটিতেও তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। আব্বাস সিদ্দিকী ত্রিপুরা এবং অসমে গিয়ে কি কর্মসূচি পালন করবেন এবং আগামীদিনে তারা তৃণমূলের সাথে গাঁটছড়া বাঁধবেন কি না সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই আইএসএফের সাথে অনেকটাই দূরত্ব বজায় রাখছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। আগামীদিনে এই দুটি দলের সাথে আইএসএফের ভবিষ্যৎ বর্তমানে যথেষ্ট অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।