নিজস্ব প্রতিবেদন: বঙ্গ বিভাজনের অভিযোগে নিরন্তর বিদ্ধ হচ্ছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন “উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিরটা কাল তৃণমূল সরকার বঞ্চিত করে এসেছে। তাই উত্তরবঙ্গ কে আলাদা রাজ্য রূপে গড়ে তুললে উত্তরবঙ্গের মানুষ সুখ-সমৃদ্ধির দেখা পাবেন।”
এই মন্তব্যে যথেষ্ট চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপির নেতারা জন বারলার এই দাবী সমর্থন না করলেও তাঁরা সকলেই একমত যে তৃণমূল সরকার উত্তরবঙ্গের মানুষের সাথে কেবলমাত্র বঞ্চনাই করে এসেছে।জনের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে বিজেপিও। এই আবহে ঠিক এরকমই একটি মন্তব্য করে বিজেপির অস্বস্তির আগুনে ঘি ঢেলেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
আরও পড়ুন-পিএসি চেয়ারম্যান কে হচ্ছেন? নাম জেনে ১০ কমিটির তালিকা করা হবে । স্পিকারকে জানালো বিজেপি
জন বারলার মতো তিনিও এবার রাঢ়বঙ্গকে ভেঙে আলাদা রাজ্যের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন।এরপরে বিজেপির অস্বস্তি আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে জন বারলার হাত ধরলেন উত্তরবঙ্গের আরো দুই বিজেপি বিধায়ক।মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেছেন,” উত্তরবঙ্গ থেকে এইমস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। স্বাধীনতার পর থেকে উত্তরবঙ্গকে কোন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দেওয়া হয়নি।
উত্তরবঙ্গের মানুষ এই দাবি করছেন, আমাদের সংসদ উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা বলেছেন। যদি আলাদা রাজ্য গঠিত হয় তাহলে আমরা উন্নয়নের মুখ দেখবো।”ঠিক একই কথা বলেছেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “উত্তরকন্যা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষকে শুধু ঠকানোর জন্য।
এই প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজ হয়না, শুধুমাত্র আড্ডা হয়। এক উত্তরবঙ্গ কে আলাদা রাজ্য করা হোক না হলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক, এর ফলে উত্তরবঙ্গের বুকে ভালো কাজ হতে পারে।”এই পরিস্থিতিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “বিজেপি কখনোই বাংলা ভাগ চায়না। উত্তরবঙ্গের মানুষজন নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন।
তারা সত্যিই উন্নয়নের মুখ দেখেননি। উত্তর দক্ষিণে বহু এলাকা এখনো বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। তাই তাঁরা অনেক যন্ত্রণায় এই সমস্ত কথা বলছেন।”