
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবাঞ্জন দেব কান্ডে উত্তাল হয়ে উঠেছিলো রাজ্য রাজনীতি। ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের ধরা পড়ার পর থেকেই রাজ্যে একের পর এক ভুয়ো সরকারি অফিসারদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ভুয়ো আইপিএস, আইএএস, ভুয়ো সিবিআই অফিসার, সিআইডি অফিসার প্রমুখেরা। রাজ্য জুড়ে কড়া নজর রাখছে পুলিশ প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে লাল বাতি, নীল বাতি লাগানোয় বেশ কিছু কড়া বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। এছাড়া লালবাজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে রাজ্যে যত্রতত্র নীল বাতি লাগানো গাড়ি দেখলেই সেগুলিকে দাঁড় করিয়ে তার কাগজপত্র পরীক্ষা করতে পারবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভুয়ো সরকারি অফাসারদের পাওড়াও করা হচ্ছে। এই আবহে এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ভুয়ো আইপিএস অফিসার।
আরও পড়ুন-বাইক চালকদের জন্য এক নতুন নির্দেশিকা নিয়ে হাজির হল কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে এই ঘটনাটি ঘটেছে বালিতে। অঙ্কিত কুমার নামক এক ব্যক্তি কে আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগে হাওড়ার অন্তর্গত বালি থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন লোককে মেসেজ করে রীতিমতো ব্ল্যাকমেল শুরু করত। তখন সেই লোকের সাথে সে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করার জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিত এবং সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকজনের থেকেই সে টাকা নিত ।
মানুষ যাতে তার উপর বিশ্বাস করে তার জন্য কলকাতা পুলিশের লোগো সে ব্যবহার করে এসেছে এতদিন।পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর ছবি ব্যবহার করত সে ব্ল্যাকমেলিংয়ের জন্য । যার ফলে খুব সহজেই তার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতেন সাধারণ মানুষ।অনেকদিন ধরেই অঙ্কিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল কলকাতা পুলিশের কাছে।
আরও পড়ুন-“আত্মরক্ষার জন্যই এই কাজ করেছি”- ক্যাব চালককে চড় মারার ঘটনায় দাবি করলেন লক্ষ্ণৌয়ের তরুণী।
পুলিশ যে তার ওপর নজর রাখছে ইতিমধ্যেই টের পেয়ে গিয়েছিল অঙ্কিত। যার জন্য গত দুই মাসের মধ্যে সে অন্ততঃ ২৯ টি মোবাইল পাল্টায়। কিন্তু তবুও অঙ্কিতের ফোনের আইপি অ্যাড্রেস ধরে ফেলে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল। বেশ কয়েক দিন তার উপর নজর রেখে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কলকাতা পুলিশ।
এর পরেই গতকাল বালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অঙ্কিতকে।জেরায় পুলিশকে অঙ্কিত জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত সে বিভিন্ন মানুষের থেকে টাকা নিয়েছে। কারো কাছ থেকে সেই ২ হাজার, কারো কাছ থেকে ১০ হাজার, আবার কারো কারো কাছ থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে সে।