কলকাতা থেকে সামান্য দূরত্বে এই 10 টি রাজবাড়ীতে রয়েছে থাকার সুযোগ সুবিধা! জেনে নিন ভাড়া সহ বিস্তারিত বিবরণ!









নিজস্ব প্রতিবেদন :-আমরা অনেকেই ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকি অর্থাৎ বছরে কোন একটি সময় দেখব ত বেরিয়ে পড়ি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। কখনো পাহাড় তো কখনো সমুদ্র আমাদের আকৃষ্ট করে থাকে। সারা বছরে ক্লান্তি বা অবসাদ কোথাও যেন গ্রা-স করে নেয় পাহাড়-সমুদ্র তাইতো মানুষ বারবার সময়ের ফাঁ-কে ফাঁ-কে ছুটে চলে যায় পাহাড়ের কোলে বা সমুদ্রের তীরে । কাটিয়ে আসে বেশ কয়েকটা দিন । এক অন্যরকম পরিবেশ চেনাজানা পরিবেশের বাইরে বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে মানসিক অবসাদ দূর হয়।




ইটাচুনা রাজবাড়ী:- এই রাজবাড়িটি হুগলী জেলাতে অবস্থিত কলকাতা থেকে মাত্র তিন ঘন্টা দূরে এটি অবস্থিত রাজবাড়ীতে অন্দরমহলের শয্য থেকে শুরু করে খাবার-দাবার পরিবেশন সমস্ত কিছু আপনাকে আকৃষ্ট করবেন। পাশাপাশি এখানকার ভোর বেলার দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম।
মহিষাদল রাজবাড়ি:- পূর্ব মেদিনীপুর অবস্থিত এই রাজবাড়িটি আজও ইতিহাস রচনা করে চলেছে প্রতিনিয়ত। কারণ যেখানে গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক রাজবাড়ী ভগ্নপ্রায় অবস্থা সেখানে কিন্তু স্বমহিমায় এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মহিষাদল রাজবাড়ি টি।




বাওয়ালি রাজবাড়ী:- কোন ফ্রী ওয়েডিং সূচক বা পরিবারের সাথে সময় কাটানো কলকাতার একদম সন্নিকটে অবস্থিত এটি বর্ধমান জেলার এটি অবস্থিত এখানকার প্রতিটি জিনিস আপনাকে প্রতিমুহূর্তে আকর্ষিত করবে। খাবার থেকে শুরু করে দেয়ালের রং এমনকি বিছানা প্রতিটি জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক আলাদা অনুভূতি।
বাড়ি কোথি রাজবাড়ি:- মুর্শিদাবাদ আজিমগঞ্জ অবস্থিত এটি গঙ্গার ধারে এই রাজবাড়ীতে আপনি পেয়ে যাবেন গ্রিক রাজস্থান সংস্কৃতির মেলবন্ধন।শুধুমাত্র স্থাপত্য নয় এই রাজবাড়ীর আপ্যায়ন থেকে শুরু করে খাবার দাবার সবকিছুতেই রয়েছে আলাদা অনুভূতি।




পাঞ্চেত ঘর রাজবাড়ি :- দীঘার খুব কাছে অবস্থিত 400 বছরের পুরনো এই রাজবাড়ীতে পাবেন আপনি আগেকার যুগের ছোঁয়া। রান্না থেকে শুরু করে বাড়ির সাজ সজ্জা এমনকি মন্দিরের নিদর্শন সবকিছুই সুবিধা পাবেন এই রাজবাড়ী থেকে।
আমোদপুর রাজবাড়ী :- বর্ধমান জেলার আমোদপুর এই রাজবাড়ীতে যদি চান আপনি একা নিরিবিলি সময় কাটাতেন তাহলে খালি হাতে আপনি ফিরে যাবেন না বরং মনের মধ্যে থাকবে একটা আলাদা তৃপ্তি .।কলকাতা থেকে মাত্র 90 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চৌধুরীদের এই রাজবাড়ীতে থাকছে আপ্যায়নের বিশেষ সুবিধার পাশাপাশি প্রকৃতি সানিধ্যে। প্রকৃতি এখানে কথা বলে সকালে ঘুম ভাঙ্গে পাখির ডাকে।




ঝাড়গ্রাম রাজবারি :-প্রকৃতির মধ্যে থাকা এমন একটা রাজবাড়ি যেখানে গেলে আপনি প্রকৃতির ছোঁয়া পাবেন একদম সামনে থেকে। শহরের ব্যস্ততম কোলাহল থেকে যদি আপনি চান নিরিবিলিতে কয়েকটা দিন সময় কাটাতে তাহলে অতি অবশ্যই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি হতে পারে সেই জায়গা ।জঙ্গল মহলের মধ্যে এই রাজবাড়ীতে সময় কাটানো রোমাঞ্চকর অনুভূতি সৃষ্টি করে।
মহেশগঞ্জ রাজবাড়ী :- কৃষ্ণনগর অবস্থিত এই রাজবাড়িটি নীলকর সাহেবের কুঠি নামে পরিচিত অনেকর কাছে । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সময় কাটানো ও বিভিন্ন গাছের মধ্যে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে গেলে অতি অবশ্যই একবার এখানে আসুন।




কাশিমবাজার রাজবাড়ি :- মুর্শিদাবাদ মানে একটা জ্বলন্ত ইতিহাস এমনটা বললে খুব একটা ভুল হবেনা ।সেই মুর্শিদাবাদে অবস্থিত এই রাজবাড়ীতে যেমন ভারতীয় রীতিনীতির প্রদর্শন দেখা যাবে। ঠিক তেমনি দেখা যাবে ইউরোপীয় রীতিনীতির প্রদর্শনী । থাকা খাওয়া ছাড়া আরো অনেক সুবিধা রয়েছে এই রাজবাড়ীতে।
বেলঘড়িয়া রাজবাড়ী :-এটি কলকাতার আশেপাশে অবস্থিত নয়। বরং কলকাতা থেকে প্রায় 230 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ।এখানে গ্রিক এবং ভারতীয় দর্শনের মেলবন্ধন ঘটেছে অভূতপূর্ণ ভাবে। দেওয়ালের নানান ধরনের আঁকিবুকি আপনাকে আকর্ষিত করবে সর্বদা।











