
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের নির্বাচনে বাংলার মানুষ বেছে নিয়েছেন আবার তৃণমূলকেই। একুশের ভোটে বামফ্রন্ট বেশ কিছু তরুণ মুখগুলোকে প্রার্থী করে যথেষ্ট লড়াই করেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে এই লড়াইয়ে তাদের হারের মুখ দেখতে হয়েছে। রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রথম বিধানসভায় একটাও বাম নেতা নেই।
বামফ্রন্টের জোটশরিক আইএসএফের ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী শুধুমাত্র জয়লাভ করেছেন।এই আবহের মধ্যে বহু ভাবনাচিন্তার পর সিপিএম নেতৃত্ব তাদের সদস্যদের বয়সের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে । জানা গিয়েছে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সদস্য পদ নির্ধারিত করে দিয়েছে। আগে সিপিএম সদস্যদের বয়সের উর্ধ্বসীমা ছিল ৮০ ।
আরও পড়ুন-আমবাসায় তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড়। উঠলো পুলিশী সন্ত্রাসের অভিযোগ
এই উর্ধ্বসীমা কমিয়ে করা হয়েছে ৭৫ বছর। জানা গিয়েছে এই বয়সের পর কাউকে সিপিএমের সদস্য পদ দেওয়া হবে না। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়টি ঘোষণা করেছেন।জানা গেছে গত ৬ থেকে ৮ ই আগস্ট সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে।
এই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আগামী ২০২২ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত সম্মতি জ্ঞাপন করবে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব।দলকে নবরূপে সজ্জিত করতে বাংলায় পা রাখতে চলেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বাংলার মাটিতে এসে আগামী বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য কমিটির নেতাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-অধিবেশনের সূত্রপাতের আগে দলীয় সাংসদদের নিয়ে রণকৌশল নির্দিষ্ট করতে বৈঠক করলেন অভিষেক
এই দুদিনের বৈঠকে দলের সমস্ত নিয়মকানুন আবার নতুনভাবে সজ্জিত করবেন সীতারাম ইয়েচুরি। অকর্মণ্য দের খুঁজে চেয়ার থেকে নামিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। শুধুমাত্র কর্মঠ এবং উদ্যোগী নেতাদের দলে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রবীনদের বদলে নতুন মুখ গুলিকে দলের প্রথম সারিতে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সিপিএম কমিটি।