
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম থেকেই পেগাসাস সহ, পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি বিলের বিরোধিতা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই দিল্লির মাটিতে পা রেখেছিলেন। তিনি দিল্লীতে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেছেন , এছাড়াও তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সাথে বৈঠক করেছেন। আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাথে তিনি বৈঠক করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন । এদিকে সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম থেকেই বিরোধীদের ব্যাপক বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে রয়েছে সংসদ। সংসদের দুটি সভাতেই ক্রমাগত বিরোধী দলের সাংসদরা বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে। যার ফলে বেশ কয়েকবার সংসদ মুলতুবি রাখতে হয়েছে ।
আরও পড়ুন-ম্যান মেড বন্যা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর দিলো ডিভিসি।
এবার সংসদের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর অপরাধে তৃণমূলের ৬ সাংসদকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে কয়েকদিন আগেই সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিলো। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে কাগজ নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন।এবার রাজ্যসভার ছয় তৃণমূল সাংসদকেও সাসপেন্ড করা হল।
তারা হলেন- আবির রঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম নুর, দোলা সেন, মহম্মদ নাদিমুল হক।জানা গিয়েছে গতকাল রাজ্যসভার অধিবেশনে সূত্রপাত হওয়ার সময়ই সাথে সাথে সংসদের ওয়েলে নেমে পেগাসাস সহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ব্যাপক বিরোধিতা করতে শুরু করে তৃণমূল সাংসদরা। চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু তাদেরকে বারবার নিজের জায়গায় বসতে অনুরোধ করলেও তারা শোনেননি। যার ফলে সংসদে শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অধিবেশনে গন্ডগোল করার অভিযোগে উক্ত তৃণমূল সাংসদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।