নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার এই আবহে নির্বাচনী প্রচারে অত্যধিক জনসমাগমে আরো আশঙ্কা বাড়ছে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার । ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বুকে করোনা প্রাণ নিয়েছে ১০ হাজার ৬৫২ জন মানুষের। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই আবহে যাতে তিনদফার ভোট এক দফাতেই সম্পন্ন করে দেওয়া যায় তার জন্য নির্বাচন কমিশনে অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার এই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি।
তৃণমূল ঘোষণা করেছে যে বাংলার মাটিতে আর কোনো বড় জনসভা করবে না তারা। বাম সংযুক্ত মোর্চা আগেই ঘোষণা করেছিল যে, তারাও আর কোন জনসভা বাংলায় করবে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী এবং তার দল আগেই প্রচারের কাজ বন্ধ করুক, মিটিং-মিছিল বন্ধ করুক , তারপরে তিনি জ্ঞান দেবেন।”
রাজ্যের বুকে এই সময় এখনো তিন দফা ভোট বাকি রয়েছে। আগামীকাল হতে চলেছে ষষ্ঠ দফার ভোট।
আবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল সন্ধ্যায় ভাষণে বলেছেন, “সারা দেশের মধ্যে যা পরিস্থিতি, লকডাউন হলো করোনা মোকাবিলার শেষ অস্ত্র। পরিযায়ী শ্রমিকরা অযথা আতঙ্কিত হবেন না। সকলে বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন। খুব প্রয়োজন না পড়লে বাড়ি থেকে বের হবেন না।”বাংলার মাটিতে পরপর ৪ টি জনসভা হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে কি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী? এর উত্তরে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “ভোটটা অবশ্যই দরকার। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে কিন্তু সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে জনসভায় ৫০০ জনের বেশি মানুষকে রাখা হবে না। একদিনের মধ্যে কখনো ১৩০ কোটি মানুষের টিকা তৈরি সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী লকডাউন করতে বলেননি। তিনি শুধু খুব দরকার ছাড়া ঘর থেকে বেরোতে বারণ করেছেন।”