নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল সম্পন্ন হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট । এখনো দুটি দফা বাকি রয়েছে বাংলায়। ভয়াবহ এই আবহে বাম সংযুক্ত মোর্চা জানিয়ে দিয়েছিল তারা আর কোন জনসভা করবে না। সেইমতো বিজেপি এবং তৃণমূলও বলেছিল তারা বড় জনসভার পরিবর্তে ছোট ছোট জনসভা করবে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ৫০০ জনের বেশি লোক থাকবে না এমনটাই জানিয়েছিল বিজেপি। করোনাকালে জনসভা গুলিতে কখনোই সম্ভব হচ্ছে না নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার।
এই ভয়াবহ আবহে নির্বাচনী প্রচারে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণের মাত্রা। হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করেছে নির্বাচন কমিশনকে যে কমিশন রাজ্যে ভোটের আবহে করোনা বিধি সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছে না। হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকলেও সেই ক্ষমতা তারা যথাযথভাবে প্রয়োগ করছে না।এদিকে ভার্চুয়াল জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন যে, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সিজেন সম্পর্কে কেন্দ্রকে পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোন রাজ্যকে এই বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন বোধ করেননি। আজ শুনলাম উনি ভার্চুয়ালি মিটিং করেছেন, আমাকে যা মন্ত্রণ জানানো হলে অবশ্যই আমি মিটিংয়ে যোগদান করতাম। আমরা গতবারের মতো এবারের কোভিড ঝড় আবার সামলে নিতে পারবো। ভোটের থেকেও করোনা আমার কাছে অগ্রাধিকার।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে পারছেন না। ৬০% ফ্রি ভ্যাকসিন গুজরাটে পাঠানো হয়েছে, আর আমাদের দিয়েছে মাত্র ১০% থেকে ১৫% ভ্যাকসিন। অক্সিজেন, ভ্যাকসিন সব বিদেশে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা কেন্দ্রের গাফিলতির চরম উদাহরণ। বিজেপি ভোটের আবহে বাংলা দখলের লক্ষ্যে বাংলায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে করোনা ছড়িয়ে দিয়েছে। “