নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১৭ ই মে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা কয়েকদিন আগেই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন। কিন্তু যেহেতু সিবিআই আবেদন করেছিলো যে এই মামলা তারা অন্যত্র সরাতে চায় তাই হাইকোর্টে গতকাল এই মামলার শুনানি হয়েছে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, “হেভিওয়েট দের গ্রেফতার করার দিন সিবিআই অফিস এবং আদালতের বাইরে যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তার গোটা বিচার প্রক্রিয়ার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল ওই দিনগুলিতে কিছু ঘটনার ছবি আমি দেখাতে চাই।
হেভিওয়েট নেতাদের বিরুদ্ধে যে কোনো রকমের তদন্ত শুরু হলেই পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই কোনো তদন্ত শুরু করলে সেটার বিচার প্রক্রিয়া কি ধরনের হওয়া উচিত ? এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালে এক সিবিআই অফিসারকে আটকে রাখা হয়েছিলো। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী ধর্না দিয়েছিলেন।”
আমি কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেছেন , “সাধারণ মানুষের উপর এই ঘটনা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে কিন্তু অভিযুক্তরা যদি এই বিষয়ে না জড়িত থাকেন তাহলে তাদেরকে ভুক্তভোগী করা হবে কেন?” এছাড়াও আরেক বিচারপতি সৌমেন সেন প্রশ্ন করেছেন যে, “নিজাম প্যালেসে বিক্ষোভের আবহে ওইদিন আইনি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য সিবিআই কারো বিরুদ্ধে এফ আইআর দায়ের করেছে?”আজকে বৃহত্তর বেঞ্চে আবার এই মামলার শুনানি হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।