
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিগত কয়েক দিনের অপেক্ষার প্রহর গোনার পর আজ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হলো বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড সমাবেশ। প্রসঙ্গত এই দিনের সমাবেশে যোগদান করেছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। যদিও সূত্র মাধ্যমের খবর অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত জোটের আসন রফা সম্পন্ন হয়নি তাদের।
কিন্তু তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করার জন্য ব্রিগেড সমাবেশের এই সুযোগ ছাড়তে রাজি হননি আব্বাস। তবে এদিন ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হতেই আব্বাস এবং কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর মধ্যে স্পষ্ট বিরোধ লক্ষ্য করেন উপস্থিত জনগণ।
অধীর চৌধুরীর বক্তব্য চলাকালীন ব্রিগেডে পৌঁছেছিলেন আব্বাস। সেই সময় আব্বাসকে দেখে উপস্থিত দর্শক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকলে অধীর ডায়াস ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হন।এমনকি মঞ্চে পৌঁছে অন্যান্য নেতাদের সাথে সৌজন্য বিনিময় করলেও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায়নি আব্বাসকে।
বাম নেতারা অনেক চেষ্টা করার পরেও অধীরের ক্ষোভ কমাতে পারেননি। কিন্তু শেষমেশ অন্তর্কলহ যাতে বাইরে না আসে ঠিক সেই কারণেই আব্বাস অধীরকে কানে কানে কিছু বললে তিনি আবার বক্তৃতা রাখতে ফিরে যান। অধীরের বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্র আব্বাস সিদ্দিকী বক্তৃতা রাখতে শুরু করলে একাধিকবার বাম সংগঠনকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন।
বলেন,”দাবি অনুযায়ী বামেরা আমাদের ৩০টি আসন ছেড়েছে। তাই যেখানেই বাম-শরিকরা প্রার্থী দেবেন, রক্ত দিয়ে তাঁদের জেতাব আমরা। বিজেপি এবং তাদের ‘বি’ টিম মমতাকে উৎখাত করব আমরা। এ বারের ভোটে মমতাকে শূন্য করে ছাড়ব”।
উল্লেখ্য আসন রফার সময় বামেরা আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে আসন ছাড়লেও নিজেদের আসন ছাড়তে নারাজ ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সুতরাং এই আসনরফা সংক্রান্ত সমস্যাকে আপাতত কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আব্বাসের বিরোধের মূল কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।