
নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে বাংলার রাজনৈতিক পটভূমিতে কান পাতলেই শুধুমাত্র শোনা যাচ্ছে বিজেপি-তৃণমূলের দ্বৈরথ। রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একুশের ভোটের পর থেকেই বাংলার মাটি রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রাজ্যের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল যাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়।
রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন রাজ্যপাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল ।বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-২১ শে জুন থেকে চালু হতে চলেছে এই ৫০ টি বিশেষ ট্রেন।
এই জনস্বার্থ মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা রাজ্যের বিভিন্ন দিকে ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন, এবং কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের সাহায্য করবেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তারপরেই লিগ্যাল কমিটি আদালতকে রিপোর্ট প্রদান করবে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী দিনে মামলার রায়ে দান করা হবে। আজ কলকাতা হাইকোর্টে পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায়ে দান করেছেন।
আরও পড়ুন-বাতিল হয়ে যাওয়া মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন কিভাবে হবে জানালেও সংসদ এবং পর্ষদ
জানা গিয়েছে প্রায় ৩ হাজার ২০০ টিরও বেশী অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতের কাছে।হাইকোর্ট মন্তব্য করেছে, “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা মেনে নেয়নি। কিন্তু আদালতের কাছে যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে তাতে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের যথেষ্ট সাহায্য করেনি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন-‘বিজেপি দরদী’ বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ
রাজ্য যদি মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে তাহলে আদালত অবমাননার দায়ে রাজ্যকে দোষী করা হবে।”অভিযোগকারীর আইনজীবী বলেছেন যে, “আদালতের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ ঘরছাড়াদের কাছে পৌঁছে সাদা কাগজে তাদের থেকে লিখে নিচ্ছে যে বাংলায় ভোট পরবর্তী কোনো রকম হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। এবার মানবাধিকার কমিশন নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখবে।”