
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে নানান মন্তব্য করে বিতর্কে কেন্দ্রবিন্দুতে জড়িয়ে পড়েন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিরোধীদের প্রতি ক্ষুরধার ভঙ্গিতে আক্রমন করতে দেখা যায় তাকে। প্রথম থেকেই যথেষ্ট উগ্রভাবে বিরোধীদের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে থাকেন তিনি।অনুব্রত মণ্ডল সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়কের নির্বাচিত হওয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদেরকে সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
গত বুধবার বোলপুরে দলীয় কর্মসূচিতে জেলার নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক দের উদ্দেশ্যে অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “বাড়িতে বসে থাকার জন্য আপনাদের ভোটে জেতানো হয়নি।”গত বুধবার বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে বীরভূমের সদ্যনির্বাচিত বিধায়ক সহ অন্যান্য নেতাদের নিয়ে বৈঠক অংশগ্রহণ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই বৈঠকের সূত্রপাত হয়েছিল যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সম্পন্ন হয়েছে। বীরভূমে তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি এবং আগামী পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন-সংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দের ঘোষণা করলেন বাবুল সুপ্রিয়।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে দুবরাজপুরের ৩ পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগ করতে হয়েছে এমনটাই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে বীরভূমে একমাত্র দুবরাজপুর বিধানসভায় হেরে গিয়েছে তৃণমূল। এরপর দুবরাজপুর এর ফলাফল বিশ্লেষণ করার পর অনুব্রত মণ্ডল ৩ পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।আজ হেতমপুর পঞ্চায়েত প্রধান, গোয়ালিয়ারা পঞ্চায়েত প্রধান, এবং বালিজুরি পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন-“রাজ্য জমি দিতে পারেনি, আর কেন্দ্রকে দোষ দিচ্ছে।”- মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ।
তাঁদের নাম হল মহম্মদ জসিমউদ্দিন, চম্পা ঘোষ এবং মুনমুন ঘোষ।তারা সকলেই একযোগে কার্যত স্বীকার করেছেন যে উপর মহলের নির্দেশে তাঁরা তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়ায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনে যথেষ্ট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি অনুব্রত মন্ডল।