
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ের পরেই তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের মারধর এবং তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করার । এছাড়াও জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও বিজেপি মহিলা কর্মীদের সাথে কিছু জায়গায় অভব্য আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ২৪ পরগণা থেকে শুরু করে বীরভূম, কোচবিহার, হাওড়া, কলকাতা, মালদা এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় জেলায় আক্রান্ত হয়ে চলেছেন বিজেপি কর্মীরা।
বেশিরভাগ ঘটনার ক্ষেত্রে এ অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের দিকে। এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তী সময়ে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৩০ জনের। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।এবার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ধর্ষিত মহিলারা।
আরও পড়ুন-“দলত্যাগ বিরোধী আইন খুব শীঘ্রই লাগু করবো।”- হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নির্যাতিতা মহিলারা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের বিজেপি করার অপরাধে গণধর্ষণ করেছে। তাঁরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার আবেদন জানিয়েছেন। দলিত শ্রেণীর এক ১৭ বছরের কিশোরী অভিযোগ করেছে যে , তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে গণধর্ষণ করেছে। এমনকি পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন-“বোকা বিড়ালকেও তৃণমূলে নিয়ে নিন”- এবার কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
ওই নির্যাতিতা সুপ্রিমকোর্টের কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়াও এক ৬০ বছরের প্রৌঢ়া তাঁকে তৃণমূল কর্মীরা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, খেজুরিতে তৃণমূল জয়লাভের পরেই তাঁরা যেহেতু বিজেপি করতেন তাই তৃণমূল কর্মীরা তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে তাদের বাড়িছাড়া করে। তার আগে তৃণমূল কর্মীরা তাদের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে এবং তাঁর ছয় বছরের ষাতনির উপরেও অত্যাচার চালায়।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করেও এখনও ডবল নিরাপত্তা পাচ্ছেন মুকুল রায়।
তিনি জানিয়েছেন তাঁর ঘরের জিনিসপত্রও লুটপাট করেছে তৃণমূল কর্মীরা। ওই বৃদ্ধাও অভিযোগ করেছেন যে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাঁর অভিযোগ নেয়নি। তাই তাঁরা সকলে মিলে বাংলায় এই ঘৃণ্য ঘটনার বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।