নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেশীরভাগ ভোটের সময়েই দেখা যায় হিংসা হানাহানির প্রতিচ্ছবি। রাজ্যের বুকে একুশের ভোট চলছে। এই ভোট কে ঘিরে যথেষ্ট উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু সর্বপ্রথমেই মনে রাখা দরকার রাজনীতির উর্ধ্বে মানুষের মনুষ্যত্বটাই আসল। ভোটের আবহে নিজেদের মধ্যে হিংস্র পশুর মত হিংসা হানাহানি কে জড়িয়ে পড়ছে মানুষজন। গণতন্ত্রে মানুষ নিজেদের ইচ্ছামত নেতা নির্বাচন করতে পারেন।
কিন্তু রাজনীতির এই প্রাঙ্গণে রক্তের ধারা বইয়ে দেওয়া কখনোই অনভিপ্রেত নয়। আজ রাজ্য জুড়ে ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে যা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে যাবে। প্রায় প্রতিটি মানুষই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপক অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। আজ ৪ টি জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দফায় দফায় হিংসা হানাহানির খবর পাওয়া গিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে আবার সৌজন্যের চিত্রও অঙ্কিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-“সকলকে দেওয়া হবে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন”- ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে লুচি তরকারি খেয়েছেন সিপিএম প্রার্থী।সৌজন্যের এই নজির দেখা গিয়েছে দমদম উত্তরের নিউ ব্যারাকপুর এর সপ্তগ্রামে। আজ ভোটের দিন সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য দুপুরবেলা তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে পেট ভরে লুচি তরকারি খেয়েছেন। সৌজন্যের এই দৃষ্টান্ত দেখে যথেষ্ট আপ্লুত হয়েছেন বাংলার মানুষজন।তন্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের এটাই সংস্কৃতি। আমরা এই সংস্কৃতির অংশ হতে পেরে গর্বিত। আমাদের এখানে পারস্পরিক সম্পর্ক খুব ভালো। সংস্কৃতির দিক থেকে, শিক্ষার দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ হল সবথেকে অগ্রগণ্য।”