নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে একুশের ভোট। এই ভোটে ব্যাপকভাবে প্রচার পর্ব চলাকালীন প্রচার সভা গুলিতে এবং রোড শো গুলিতে মাত্রাতিরিক্ত জনসমাগম করোনার সংক্রমণকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বাংলার ভয়াবহ এই আবহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল যে আগামী ভোটের তিন দফার ৭২ ঘন্টা আগেই রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের প্রচারাভিযান সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ঘোষণাই সার। এখনো পর্যন্ত কোন জনসভাতেই ততটা মানা হচ্ছে না কোভিড বিধি ।
কোন রকম শারীরিক দূরত্বও মানছে না মানুষজন।আজ রাজ্যজুড়ে ষষ্ঠ দফার ভোট সম্পন্ন হচ্ছে। আর আজই কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে নির্বাচন কমিশনকে । কলকাতা হাইকোর্টে করোনা আবহে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে যে, “করোনার এই ভয়াবহ আবহে শুধুমাত্র নির্দেশিকা জারি করে দায় এড়িয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-“এনপিআর করতে দেবো না, এনআরসি করতে দেবো না।”- জনসভা থেকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
কোথাও ঠিকঠাক করোনা বিধি মানা হচ্ছে কি না সেই বিষয়ে কোন পর্যবেক্ষণ করছে না নির্বাচন কমিশন। সাধারণ মানুষের উপর সমস্ত দায়ভার চাপিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের কাছে অনেকটাই ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু সেই ক্ষমতার প্রয়োগ যথাযথভাবে করতে পারছেনা নির্বাচন কমিশন।
টি এন শেষনের ১০% কাজ কমিশন পড়তে পারবে কিনা তা অত্যন্ত সন্দেহের বিষয়। এইভাবে কমিশন দায়মুক্ত হতে পারে না।”পশ্চিমবঙ্গের বুকে একুশের ভোট চলাকালীন ভয়াবহ সন্ত্রাস চালাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৫৬ জন। এই ভাইরাস প্রাণ নিয়েছে ১০ হাজার ৭১০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৫০ জন।