নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচি কান্ডে উত্তাল বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘেরাও করে আক্রমণ করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালিয়েছে যার দরুন প্রাণ গিয়েছে ৪ জন তৃণমূল সমর্থকের। এই ঘটনায় গতকাল সারা রাজ্য জুড়ে কালা দিবস পালন করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন কমিশন অনুমতি দেয়নি কোচবিহারে নিহতদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য।
ভিডিও কলে নিহত তৃণমূল সমর্থক দের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন নিহত তৃণমূল সমর্থক দের পরিবারের পাশে তিনি থাকবেন । ওদিকে ওই বুথেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আনন্দ বর্মনকে। এই হত্যার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন –বারাসাতে প্রধানমন্ত্রীর সভা হতে চলেছে। কিন্তু বাতিল হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্মসূচি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, বুথে ভোট গ্রহণ চলাকালীন বাইকে করে এসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা এবং গুলি ছোঁড়ে। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৮ বছর বয়সী তরুণ আনন্দ বর্মন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো যুযুধান পরিস্থিতি বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। এদিকে শীতলকুচির ঘটনা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেছেন,
“শীতলকুচিতে চার জনের বদলে আটজনকে মারা উচিৎ ছিলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী শুধু মাত্র চারজন কে মারল তার জন্য তাদের শোকজ করা উচিত। যারা ভোটের লাইনে দাঁড়ানো একটি ১৮ বছরের ছেলেকে গুলি করে মেরে দেয়, তাদের নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয় না কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বোমা ছোঁড়ে, তাদের নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলকুচি তে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। আবার যদি কোথাও রকম ঘটনা ঘটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আবার এই জবাব দেবে।” রাহুল সিনহার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।