
নিজস্ব প্রতিবেদন: একের পর এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নামে হাইকোর্টে মামলা চলছে। আসলে কাঁথি পুরসভা থেকে ত্রিপল চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এই এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলো ।শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কাঁথি থানায় তাদের বিরুদ্ধে ত্রাণের ত্রিপল চুরি করার অভিযোগ ইি জমা পড়েছিলো ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরেই। তখনই এই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারী।গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সমগ্র মামলার অন্তরালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বলে দাবি করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া বলেছেন যে,
আরও পড়ুন-“WBCS এর প্রশ্নপত্রে সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন”- কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
“সৌমেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পরেই তাকে পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে হঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার সদস্য রত্নদ্বীপ মান্না যে অভিযোগ করেছে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য করা হয়েছে। এফআইআরে যেটা দায়ের হয়েছে, তাতে চুরির কোন উল্লেখ করা হয়নি। শুধু উল্লেখ করা হয়েছে যে শুভেন্দু চুরি করতে পারেন। কাঁথি পুরসভার সাথে শুভেন্দুর কোন রকম সম্পর্ক নেই।
আর পুরসভার কেউ অভিযোগ করেনি যে তারা ত্রিপল চুরির সাথে যুক্ত রয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর কে এই মামলা থেকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হোক।”এদিকে আবার একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন শুভেন্দু। এই আবহের মধ্যেই তাঁকে কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগেও তাঁকে কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিলো, তবে তখন আদালতের হস্তক্ষেপের ফলে বিষয়টি মিটে গিয়েছিলো। কিন্তু এবারে বোর্ডের বৈঠক অনুযায়ী কন্টাই চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হল শুভেন্দু অধিকারী কে। অবশ্য এখনো পর্যন্ত শুভেন্দু কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি এই বিষয়ে।