
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে তৃণমূলের জয়লাভের পর থেকেই বাংলার মাটি হয়ে উঠেছে রক্তস্নাত। বিজেপি কর্মী সমর্থক রা অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে তাদের। বহু বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতিতে প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল যাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়। রাজ্যের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির অভিযোগে রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন বিজেপির মোট ৫০ জন বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যপালের সাথে দেখা করেছেন তারা।
রাজভবনের বারান্দায় বিধায়কদের সাথে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। শুভেন্দু অধিকারীর সাথে বৈঠকের ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই রাজ্যপাল গিয়েছেন দিল্লিতে।এদিকে রাজ্যে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আক্রান্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপর আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।গতকাল উলুবেড়িয়ার বাগনানে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত বিজেপির এক কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে সময় দিলেন না অমিত শাহ। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাতের বিষয়টি ধোঁয়াশা।
সেখানে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন,”রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি ফলকনামা জারি করেছে । ওই হলফনামায় রাজ্যে ভোট পরবর্তী এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির কোনো কথা বলা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চাইছে যাতে এটাই বুঝানো যায় বাংলায় কোনো রকম হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি।
এই সবকিছু বিরোধীরা রটাচ্ছে এমনটাই বোঝাতে চাইছেন তিনি। একটা কথা বলে রাখি, অতি বাড় বেড়োনা ঝড়ে পরে যাবে।”শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।