নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচি কান্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন কমিশন অনুমতি দেয়নি কোচবিহারে নিহতদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। ভিডিও কলে নিহত তৃণমূল সমর্থক দের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন নিহত তৃণমূল সমর্থক দের পরিবারের পাশে তিনি থাকবেন । ওদিকে ওই বুথেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আনন্দ বর্মনকে। এই হত্যার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
আজ শীতলকুচিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে পাশেই তৈরি হয়েছে একটি শহীদ মঞ্চ, সেখানেই মৃতদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তারা মুখ্যমন্ত্রীর কোন রকম সাহায্য গ্রহণ করবে না।শীতলকুচির মাথাভাঙার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,“নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সাথে আমি দেখা করেছি।
সবথেকে দুঃখ হচ্ছে কম বয়সী তরুণ গুলো মারা গেছে, একজনের দেখলাম তার বউ প্রেগন্যান্ট তার খুব শীঘ্রই সন্তান হবে। আরেকজনের দেখলাম একেবারে ছোট্ট শিশু। আরেজনের বাড়িতেও দেখলাম একরত্তি বাচ্চা, আবার তার বড়োভাইও মার্ডার হয়ে গিয়েছে অনেক আগে। আমি মনে করি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার হওয়া প্রয়োজন। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শাস্তি পাবে। ভোট মিটে গেলেই আমরা এই ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত সাজা দেবো।
মৃতদের পরিবার ন্যায় বিচার পাবেন।”এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা কেউ বিশ্বাস করে না। তিনি একুশে জুলাই এর ঘটনার পর নিজে বলেছিলেন যে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেবেন। কিন্তু কালক্রমে দেখা গেল একুশে জুলাই এর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের তিনি নিজেই নিজের দলে নিয়ে নিলেন, তাদের আবার পুরষ্কৃত করলেন। তাই এক্ষেত্রে তিনি কী করবেন একথা সবাই জানে।”