
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির ছত্রছায়ায় গিয়েছিলেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে গিয়ে তিনি বারবার ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। এবার বাগনান কান্ডে আবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী।গত শনিবার হাওড়ার অন্তর্গত বাগনানে নিজের বাড়িতেই গণধর্ষণ করা হয়েছে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে।
ওই মহিলার কয়েক মাস আগে স্ট্রোক হয়েছিল এবং তিনি ভালোভাবে কথাও বলতে পারেন না। মহিলার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাকে গভীর রাতে ধর্ষণ করেছে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতাদের। ওই মহিলার স্বামী সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত।স্থানীয় তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন মল্লিক এবং দেবাশীষ রানার বিরুদ্ধে এই জঘন্য গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ।
রাতভর ধর্ষণ করার পর ওই মহিলাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে দেওয়া হয়। ওই মহিলার ছেলে তাকে ওই অবস্থায় দেখে সকলকে ডেকে আনেন। তারপর এলাকাবাসী তাঁকে উলুবেরিয়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে ট্রান্সফার করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ।
এই ঘটনায় রাজ্যের বিজেপি নেতা নেত্রীরা যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্যাতিতা মহিলাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি ওই মহিলাকে দেখে আসার পর তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তোপ দেগেছেন। শুভেন্দু অধিকারী ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন,”আমি খুবই অবাক হচ্ছি যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী শাসনকালে ধর্ষণকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-হাসপাতালে ভর্তি শুভেন্দু অধিকারীর মা। দেখে এলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
হাসপাতালে আমি ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। ওই মহিলা বাগনানে কুতুবউদ্দিন মল্লিক এবং দেবাশীষ রানার নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীদের দ্বারা নির্মমভাবে গণধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় অপরাধীদের বাঁচানোর ব্যাপক চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন। এই অমানবিক ঘটনায় ওই মহিলার উপর অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা।
উনার চিকিৎসার জন্য উনাকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”