
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল সারা দেশজুড়ে কোভিড আবহের মধ্যেই পালিত হয়েছে ৭৫ তম স্ববাধীনতা দিবস। সারা ভারতের মধ্যে দিল্লি, মুম্বাই, কেরালা, চেন্নাই, কাশ্মীর, কন্যাকুমারীকা সহ বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব’ এর অংশ হয়েছে সারা পৃথিবী। গতকাল ১৫ ই আগস্ট সন্ধ্যা থেকে আজ ১৬ ই আগস্ট সকাল পর্যন্ত আমেরিকা থেকে শুরু করে দুবাই, ব্রিটেন, রাশিয়া প্রভৃতি দেশগুলির প্রায় ৭৫ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবন ভারতের পতাকার রঙে সেজে উঠতে চলেছে।
আমেরিকার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা, ব্রিটেনের বার্মিংহাম লাইব্রেরী, কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত সহ পৃথিবীর বিখ্যাত জায়গা গুলি পতাকার রঙে সেজে উঠেছে। সারা ভারতবাসী এই গৌরবময় মূহুর্তের সাক্ষী হতে চেয়ে অতি উৎসাহের সাথে অপেক্ষা করেছেন।
এই আবহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতি বছর ১৪ ই আগস্ট ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসাবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন –আবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল। দোলা সেন, অপরুপা পোদ্দারের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ।
এই আবহের মধ্যে বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার সম্পর্কে এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করতে গিয়ে মাতঙ্গিনীকে অসমের অধিবাসী বলে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি গতকাল বলেছেন,
“আসামে মাতঙ্গিনী হাজরার পরাক্রম দেখা গিয়েছিলো।” আর তাঁর এই বক্তবের পরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্তর ট্রোল শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উপরে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন,
“মাতঙ্গিনী হাজরা অসম নিবাসী? আপনার কি। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? আপনার ইতিহাস জানা নেই। আপনি একদমই অনুভূতিশূন্য একটা মানুষ। আপনাকে যেটা লিখে দেওয়ার হয়, শূধুমাত্র সেটাই গড় গড় করে পড়ে যান। আপনাকে তৃণমূলের কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে” সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ট্রোলিংয়ের সূত্রপাত হয়েছে।