
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত সপ্তাহে শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। জল্পনা চলছিলো অনেকদিন থেকেই। গত ২০১৭ তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন মুকুল রায় । কিন্তু তাঁকে বিজেপিতে কখনোই অতি সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি।
এছাড়াও একুশের ভোট প্রচারেও তাঁর উপস্থিতি ততটা সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি। সমস্ত জল্পনা সত্যি করে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। তবে তিনি এখনো কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিজেপি বিধায়ক পদে আসীন রয়েছেন। এবার এই বিধায়ক পদ কি তিনি ছাড়তে চলেছেন ? তা নিয়ে বিস্তর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন-“মনগড়া চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল”- ভোট পরবর্তী হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে জবাব দিলো রাজ্য।
মুকুল রায় জানিয়েছেন যে, তিনি এখনই বিজেপির বিধায়কপদ ছাড়বেন না। আগামী ২ রা জুলাই বিধানসভা অধিবেশনে তিনি যোগদান করবেন। তারপর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন তিনি বিধানসভার স্পীকারের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবী জানাবেন।
আরও পড়ুন-“অন্য দলে গিয়েছেন। উনার এবার বিধায়ক পদ ছাড়া উচিৎ।”- মুকুল প্রসঙ্গে বললেন দিলীপ ঘোষ।
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “২০১৯ সালের পরে মাত্র ৪০% ভোট নিয়ে বিজেপি পেয়েছিল ১৮ টি আসন। যারা ভেবেছিলেন যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা চলে গিয়েছেন। আমাদের যে কর্মীরা রয়েছেন তাদেরকে নিয়েই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণ করব। দলত্যাগ বিরোধী আইন সবার জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
সিপিএম কংগ্রেস বিধায়ক রা যখন দল ছেড়েছিলেন তখন বিধানসভার স্পীকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দলত্যাগের আইন রয়েছে সেই আইন লাগু করা প্রয়োজন। মুকুল রায় হলেন সিনিয়র নেতা। তার উপরে বিশ্বাস করে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন।
তাই তাঁর অবিলম্বে বিধানসভার সদস্য পদ ছেড়ে উদাহরণ হিসেবে নিজেকে পেশ করা উচিত।”