
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় আগামী ২০২৩ এর বিধানসভা ভোটে নিজেদের গড় মজবুত করতে সর্বশক্তি দিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েকদিন আগেই আইপ্যাকের টিম ত্রিপুরায় সমীক্ষার কাজে গেলে তাদের করোনা পরীক্ষার অজুহাতে আটকে রেখেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। এরপরেই বাংলার রাজ্য সরকারের সাথে যথেষ্ট সংঘাত বেধে গিয়েছে ত্রিপুরা প্রশাসনের। ত্রিপুরার মাটিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য , মলয় ঘটক সহ আরো বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতারা।
গত সোমবার গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে আগরতলার বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়টিকে ঘিরে যথেষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে সংগঠনকে আরো দৃঢ় ভাবে সাজিয়ে তুলতে গতকাল ত্রিপুরায় উপস্থিত হয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রশান্ত কিশোর।
ত্রিপুরার মাটিতে সরকার গঠন করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গতকাল ত্রিপুরা দিয়েছেন কুনাল ঘোষ। যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন,”দলীয় কাজে আমি ত্রিপুরা যাচ্ছি। ত্রিপুরার সাথে আমার বহুদিনের সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান বিজেপি সরকার ত্রিপুরার মাটিতে কোন উন্নয়ন করেনি।
আগেই যে সরকার ছিলো সেই সরকারও ত্রিপুরার মাটিতে কোন উন্নয়ন করেনি । ত্রিপুরায় খুব শীঘ্রই সরকার গড়তে চলেছে তৃণমূল। বিপ্লব দেবের সরকার বুঝে গিয়েছে যে ত্রিপুরায় তাদের বিদায় আসন্ন। ত্রিপুরার ভূমি পুত্রকেই করা হবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।”
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব যাওয়ার কারণ জানিয়ে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বাবুল সুপ্রিয়
এরপর ত্রিপুরা পৌঁছে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন কুনাল ঘোষ। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, “কোন নেতার আসা-যাওয়ার ওপর এবার এই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে মানুষের মহাজোট হতে চলেছে ত্রিপুরায়। আপনারা জোড়াফুলকে আশীর্বাদ দিন।”
এছাড়াও অপর একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, “ত্রিপুরার মাটিতে শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, উদ্বাস্তু, নমঃশূদ্ররা চরমভাবে অবহেলিত হয়েছে। বামেরা ভুলে গিয়েছে, আর বিজেপি ডুবিয়ে চলেছে। দলীয় রাজনীতি পরে হবে। আগে নিজেদের অধিকার রক্ষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ত্রিপুরায় মানুষের মহাজোটকে আপনারা সমর্থন জানান।”