নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে দলে দলে নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূল থেকে আসা নেতা নেত্রীরা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে টিকিট দেওয়া নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যথেষ্ট বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল। বিক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছিল যখন শুভেন্দু অধিকারী কে বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করা হয়। বিজেপির মধ্যে আদি বিজেপি এবং নব্য বিজেপির একটি বিভাগ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপির একটা ঠান্ডা লড়াই জারি রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আদি বিজেপির বহু নেতা এবং সর্মথকরা শুভেন্দুর নেতৃত্বে কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না । এই আবহে আবার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীরা। দলবদলুরা আবার তৃণমূল মুখো হচ্ছেন।
আরও পড়ুন-৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করলেন রাজ্যপাল
ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীরা এবং সেইসাথে তৃণমূলে চলে গিয়েছে বিজেপির হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। এই পরিস্থিতিতে পদ্মশিবিরে ঘনিয়ে এসেছে দুর্যোগের কালো মেঘ। মুকুল রায়ের আবার তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের পর এই বিজেপির আশঙ্কার আগুনে ঘি পড়েছে। যার দরুন এবার ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বৈঠক ডেকেছিলো রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-জামালপুরে বিক্ষোভ গাঢ় হচ্ছে সুনীল মন্ডলের বিরুদ্ধে। রাবণ বানিয়ে দেওয়া হল পোস্টার
এই বৈঠকেই এবার আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপির দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে বিজেপি রাজ্য নেতারা অভিযোগ করেছেন যে ভোটের পূর্বে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং গুরুত্ব দেওয়া হয়নি আগে থেকেই বিজেপিতে থাকা পুরনো নেতাদের যার জন্য বহু নেতা দলে আর সক্রিয় নেই যার জন্য সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় ভরাডুবির মুখ দেখছে।
হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ে এই বৈঠকে সকলেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এবার বিজেপিতে থাকা পুরানো নেতাদের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সংগঠনে জেলা কমিটি গুলিকে তারা নির্দেশ প্রদান করেছেন যে পুরানো কর্মী এবং নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অভিমান ভাঙিয়ে আবার দলে ফিরিয়ে আনতে হবে। হারের পর অনেকটা দেরিতে হলেও বোধোদয় হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের।