
নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর কাজ কবে সূত্রপাত হতে চলেছে সেই বিষয়ে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তাই এই তালিকা এখনই তৈরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাই বর্তমানে তিনি চাইছেন যে পশ্চিমবঙ্গে আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন রূপায়িত করা হোক। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের দরুন বাংলার মাটিতে আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান সম্ভবপর হবে।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে, “বাংলায় সিএএ লাগু হলেই এনআরসির কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে।”গত ২০১৯ এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতার শীর্ষে আসীন হওয়ার সময়েই দেশজুড়ে সিএএ, এনআরসি লাগু করার কথা বলেছিলেন। ওই সালেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। যথার্থ কাগজপত্র না দেখাতে পাড়ার দরুন চূড়ান্ত তালিকা থেকে প্রায় কুড়ি লক্ষ অসমবাসীর নাম বাদ পড়ে গিয়েছিলো।
আরও পড়ুন-“সিপিএম চেষ্টা করেও পারেনি”- ত্রিপুরা কান্ডে বিপ্লব সরকারকে বিঁধলেন ফিরহাদ হাকিম
বর্তমানে সেই সমস্ত বাসিন্দাদের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এই ধরনের হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।এবার এই পরিস্থিতিতে মতুয়া ভোটের বিষয়টি মাথায় রেখে দিলীপ ঘোষ রাজ্যের মাটিতে এনআরসির পরিবর্তে সিএএ কার্যকর করার দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন যে,”সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে অসময়ে এনআরসি লাগু হয়েছে।
আরও পড়ুন-“বিজেপি শয়তানের দল”- আহত ছাত্রনেতা সুদীপ রাহাকে হাসপাতালে দেখে এসে বললেন অনুব্রত মণ্ডল
যদি পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু হয়, তাহলে এমনিতেই এনআরসির অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হবে।”এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, “সারা ভারত জুড়ে এনআরসি কবে লাগু হতে চলেছে সেই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় প্রশাসন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। ২০১৯ সালে যে জনগণনা হয়েছিলো তার প্রথম পর্যায়ের সাথে এনপিআরের যে তালিকা কেন্দ্রের কাছে বর্তমান তার সংশোধন করার কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে।”