নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েকদিন আগেই জরুরি তলব পেয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করেছিলেন। জল্পনা হয়েছিল যে তিনি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আবেদন করেছিলেন ওই বৈঠকে। এরপরেই ফিরে এসে কয়েকদিন আগেই ৫০ জন বিধায়ক সহ বাংলায় হিংসাত্মক পরিস্থিতি এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে।
আবার শুভেন্দু অধিকারী কে গতকাল জরুরি তলব করেছে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব।জানা গিয়েছে গতকাল দিল্লি গিয়ে আজ সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সাথে দেখা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতেই মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পরেই রাজ্যজুড়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন।
মুকুল রায় দাবি করেছেন যে বেশ কিছু বিজেপি নেতা গোপনে তার সাথে যোগাযোগ করছেন তৃণমূলে আসবেন বলে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী কে দিল্লি তলব করা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে জল্পনা হচ্ছে যে সিবিআইয়ের থেকে পিঠ বাঁচাতেই নাকি শুভেন্দু বারবার দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন। নারদা মামলায় এবার প্রতিটি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবে সিবিআই এমনটাই জানা গিয়েছে।
ইডিও তৎপর হয়ে রয়েছে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে রয়েছে শুভেন্দুর। তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যদি শুধুমাত্র শুভেন্দুকে বাদ দেয় তাহলে যথেষ্ট শোরগোল উঠবে রাজ্য জুড়ে। তাই ঘনঘন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করে বিকল্প সমাধানের প্রাণপণ চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করছেন বিজেপির বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা ।