
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য বিজেপিতে ধরছে ভাঙন। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতারা আবার বেসুরো হয়ে ঝুঁকছেন বিজেপির দিকে। ইতিমধ্যে বিজেপির দলবদলু নেতা সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পদ্মফুল শিবিরের সাথে বিগত চার বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়।
এছাড়াও মুকুল রায়ের গতকাল তৃণমূলে যোগদানের দিনেই বনগাঁর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি পদত্যাগ করেছেন। অনুমান করা হচ্ছে তিনি তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন। বনগাঁ বিজেপিতেও দেখা দিতে পারে ভাঙন, এমনটাই অনুমান করছে বিজেপি নেতৃত্ব। গতকাল বনগাঁয় দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে হাজির হলেন না তিনজন বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন-মুকুল ফিরতেই জমে উঠলো সেই পুরানো আড্ডা। আলুভাজা, চিপস্ দিয়ে মুড়ি মাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও অনুপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া , বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।দিলীপ ঘোষ বিধায়কদের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে বৈঠকের শুরুতেই বলেছিলেন,”সকলকেই ডাকা হয়েছিল। জেলার যে সমস্ত কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক বিজেপির নেতারা তাদের সাথে এখন রয়েছেন, অনেকে আবার ত্রাণ দিতে গিয়েছেন। পরে হয়তো আসবেন।”
কিন্তু তাঁরা আর আসেননি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৈঠকের পরেই বলেছেন,”রাজ্যে হাজার হাজার কর্মীরা ঘরছাড়া রয়েছেন। তাঁদের ঘরে ফেরানোই এখন আমার প্রধান উদ্দেশ্য। দলে কে এলো আর কে গেল তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার সময় এখন নেই।
কিছু লোক ভোটে জেতার জন্য দলে এসেছিলেন। দল হেরে যাওয়ায় তারা বেসুরো হয়ে উঠেছেন। তবে তারা দল ছেড়ে যাওয়ায় দলের কোনো ক্ষতি হবে না।”