আফগানিস্তান ইস্যুতে পুতিনের সাথে ফোনে আলোচনা সারলেন মোদী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: তালিবানের কব্জায় আফগানিস্তানের মাটি। তালিবানের রাজধানী কাবুল দখল করেই সরকার গড়ার পথে তালিবান। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে শরীয়তী আইনবিধি চালু করে দিয়েছে তালিবান। বিগত ২০ বছর পর আবার তালিবানের ক্ষমতায় আসার পরেই যথেষ্ট আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। দেশ ছেড়ে অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা করেছেন অনেকেই।
হাজার হাজার আফগান তালিবানের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ না থাকতে চেয়ে প্রাণ হাতে করে বিমানের চাকা পর্যন্ত ধরে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। যদিও তালিবান আশ্বাস দিয়েছে যে সাধারণ নাগরিকদের তারা কোনো ক্ষতি করবে না, তবুও আফগান মানুষেরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। আফগান মহিলারাও তাঁদের স্বাধীনতা ভুলুন্ঠিত হওয়ার আতঙ্কে দিনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন-তালিবানের বিরুদ্ধে উঠলো ইউক্রেনের বিমান হাইজ্যাকের অভিযোগ।
ভারত, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশগুলি ইতিমধ্যেই তাদের বেশীরভাগ নাগরিকদের আফগানিস্তানের মাটি থেকে নিয়ে চলে এসেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে তিনি আফগানিস্তানের মানুষের সাথে রয়েছেন।এদিকে পাকিস্তান, চীন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য প্রকাশ্যে তালিবানকে সমর্থন করেছে, এমনকি তালিবানকে সাহায্যের আশ্বাস পর্যন্ত দিয়েছে চীন।
রাশিয়াও বর্তমানে আমেরিকার পরোক্ষ বিরুদ্ধাচারণ করতে গিয়ে তালিবানকে পরোক্ষভাবে সমর্থন শুরু করে দিয়েছে। অনেক দেশই আফগানিস্তানের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এখনও কোনো অবস্থান জানায়নি। এদের মধ্যে অন্যতম হল ভারত। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনকে এখনো মান্যতা দেওয়ার বা না দেওয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেনি ভারত।
আরও পড়ুন-“তালিবানদের মদত দিয়েছিলো আইএসআই।”- মতামত জ্ঞাপন করলো আমেরিকান কংগ্রেস।
এই আবহের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে পুতিনের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আফগানিস্তানে পরিস্থিতি অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজি বানানোর বিষয়ে আলোচনা পর্ব সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখনো পর্যন্ত তাদের মধ্যে কি কি কথাবার্তা হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।এছাড়াও গতকাল রাতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে আফগানিস্তান ইস্যুতে পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।