
নিজস্ব প্রতিবেদন: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষ। তিনি এবারের একুশের আন্দোলনে বামেদের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন। প্রবল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই নেত্রী ঐশী ঘোষ এবং অন্যান্য পড়ুয়াদের গত ২০১৮ সালে একটি প্রদর্শনকে ঘিরে তাদের শোকজ করেছে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়।
ওই সময়ে বাম নেত্রী ঐশী ঘোষ এবং অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের একটি প্রদর্শন আন্দোলনকে অনুশাসন হীনতা এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ ।জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ডিরেক্টর রজনীশ কুমার মিশ্রা বলেছেন, “পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিস বৃদ্ধি করা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে রেখেছিলো। এর ফলে বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ পন্ড হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-জামাইষষ্ঠীতে বড় উপহার দিলেন উপমন্ত্রী। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দিলেন ছুটি।
এর পরেই করোনা মহামারী শুরু হয়ে গিয়েছিলো। তাই এই শোকজ প্রক্রিয়া এখন শুরু করা হয়েছে।”উক্ত শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে যে, ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে আন্দোলন দেখে ছিল তা ওই আবহে যথেষ্ট বিপদজনক বলে বিবেচিত হয়েছে। হিংসাত্মক গতিবিধি, প্রফেসরদের ঘেরাও করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে বাধা দেওয়ার মত ঘটনা এবং হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে উস্কানি দেওয়ার ঘটনা সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার বিরোধী বলে বিবেচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-অসুস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা। ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএমে। দেখতে গেলেন অভিষেক
এই বিষয়ে আগামী ২১ শে জুনের মধ্যে ঐশী ঘোষের জবাব তলব করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।এই প্রসঙ্গে ঐশী ঘোষ বলেছেন, “জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় কোনরকম প্রশাসনিক কাজ হচ্ছে না এই ভয়াবহ মহামারীর আবহে। ক্যাম্পাসে তীব্র জল সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও সমস্ত পড়ুয়াদের এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। তাই এই মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের ভয় পাইয়ে দমিয়ে রাখার জন্য শাস্তি দেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছে বিশ্ববিদ্যালয়।”