নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস প্রবল তান্ডব চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে বাঙালির সাধের সমুদ্র সৈকত দীঘাকে। সমুদ্রের পাড়ের বোল্ডার ছিটকে উঠে এসেছে রাস্তায়। বছর কয়েক আগেই বানানো দীঘা উপকূলবর্তী সুদৃশ্য রাস্তা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। দীঘার সমুদ্রতট আবার পুনর্গঠন করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি কাগজ পেন নিয়ে এঁকে বুঝিয়েছেন যে দীঘার উপকূলে ঠিকঠাক কাজ হয়নি। ইয়াসের পরবর্তী সময় থেকেই তিনি সেচ দপ্তরের কাজ নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,”দীঘায় যথাযথ পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে হবে। সাড়ে তিন কিলোমিটার দুটি রাস্তার মাঝে শেষ দপ্তরের ব্রিজ রয়েছে যেটা ৪ থেকে ৫ বছর ধরে পড়ে রয়েছে। সমুদ্র সৈকতের রাস্তায় পাথর গুলো ভালো ভাবে লাগানো হয়নি। পুরো কাজটাই ভুল করা হয়েছে। চিফ ইঞ্জিনিয়ার কে দায়িত্ব নিয়ে এটা মেরামত করা দরকার। মেরিন ব্রিজের মত প্রায় ৭ কিলোমিটার চওড়া রাস্তা হচ্ছে দীঘায়। হকারদের দোকানগুলো অবিলম্বে মেরামত করা দরকার।
যতদিন দোকানগুলি মেরামত করা না হচ্ছে ততদিন হকারদের ট্রলি দেওয়া হতে পারে। প্রতিবছর ঝড় আসছে আর জলের মতো টাকা চলে যাচ্ছে । রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে নির্মাণকারী সংস্থা কে। এমন একটা বাঁধ তৈরি করা দরকার যা আগামী ২০ বছরে ভেঙে পড়বে না। যেখানে কংক্রিটের কিছু করা যাবে না সেখানে বেশি করে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ লাগাতে হবে। ইতিমধ্যেই বনদপ্তর সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছে।”এছাড়াও গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিবকে আমফানের কাটা গাছের হদিশ পেতে আগামী ৩ দিনের মাথায় রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।