
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ ঝাড়গ্রাম সফরে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারে তিনি ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে রওনা দিয়েছেন এবং যাওয়ার পথে তিনি হাওড়া উদয়নারায়নপুর এর বন্যা দুর্গত এলাকা গুলি পরিদর্শন করেছেন। এর পরেই ঝাড়গ্রামে উপস্থিত হয়ে বিশ্ব আদিবাসী দিবসে যোগদান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরসা মুন্ডার ছবিতে মালা দিয়ে তিনি এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে। তিনি আদিবাসীদের সাথে ধামসা বাজিয়েছেন এবং তাদের নাচের সাথে পা’ও মিলিয়েছেন। একুশের ভোটে ঝাড়গ্রাম তৃণমূল কে নিরাশ করেনি। তাই এবার একুশের ভোটে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই ঝাড়গ্রাম গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামীকাল তিনি ঝাড়গ্রাম থেকে ফেরার পথে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। আজ ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাত্রিযাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আজ আদিবাসী দিবসে উপস্থিত হয়ে তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “ঝাড়গ্রামের মাটিতে আমরা উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছি । এখানে ৩ কোটি মানুষকে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আমরা পরিষেবা দিয়েছি।
এখানে একটি সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরী করেছি । চারটি নতুন কলেজ শেষের পথে। রাজ্য সরকার নতুন আইন তৈরি করছে যাতে আদিবাসীদের জমিতে কেউ দখলদারি করতে পারবে না। অলচিকি পড়াশোনার জন্য ৫০০ টি নতুন স্কুল তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-“বাংলায় কুমিরের কান্না আর ত্রিপুরায় বর্বরতা”- ত্রিপুরা কান্ডে বিজেপিকে বিঁধলেন ফিরহাদ হাকিম
আগামী ১ লা সেপ্টেম্বর থেকেই লক্ষীর ভান্ডার এর সুবিধা পাবেন মা-বোনেরা। এছাড়াও কয়েক মাসের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। লালগড় কলেজে সাঁওতালি ভাষায় গ্রাজুয়েশন করা যাবে।”এরপরই মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে বলেছেন, “যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে ধরিয়ে দেবেন, আমি ভুল শুধরে নেব।
কিন্তু দয়া করে আপনারা আমাকে ভুল বুঝবেন না।”