
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একুশের ভোটে রাজ্যে প্রচারে এসে অভিযোগ করেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃষকদের পিএম কিষাণ যোজনার অন্তর্ভুক্ত হতে বাধা দিচ্ছেন। রাজ্য সরকার জানিয়েছিল যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে যদি কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের টাকা না দেয় তাহলে কোন সমস্যা হবে না। তারপরে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যের কৃষকদের তালিকা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
একুশের নির্বাচনের আগে বাংলার কৃষক দের কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কিষাণ যোজনার অন্তর্ভুক্তিকরণ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এদিকে একুশের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে বাংলার মাটিতে বিজেপি ক্ষমতায় আসীন হলে বাংলার সমস্ত কৃষকদের বকেয়াসহ সাম্প্রতিক পিএম কিষান যোজনার কিস্তির টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হবে। তবে প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাংলার মানুষ বিজেপিকে উপর ভরসা রাখতে পারেনি।
আরও পড়ুন-“ত্রিপুরা দখল তৃণমূলের অলীক স্বপ্নই থেকে যাবে।”- এবার সুর চড়ালো ত্রিপুরা বিজেপি।
বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় আসীন না হলেও পিএম কিষাণ যোজনার কিস্তি গুলি দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের।জানা গেছে গতকাল সোমবার আগস্ট মাসের প্রথম কিস্তি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের মোট ২০ কোটি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই কিস্তির টাকা গতকাল ঢুকে গিয়েছে। এই টাকা পাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অগণিত কৃষকদের উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
এই চিঠি যাতে বাংলার প্রতিটি কৃষকদের কাছে পৌঁছে যায়, তার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।মুখ্যমন্ত্রী এই চিঠিতে লিখেছেন যে,”কেন্দ্রীয় সরকার নানান অজুহাতে বাংলার কৃষক দলের প্রাপ্য টাকা দিতে চাইছিল না, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কৃষকদের স্বার্থে লড়াই করে কেন্দ্রের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছে যার জন্য কেন্দ্রীয় পিএম কিষাণ যোজনার টাকা পাচ্ছেন বাংলার কৃষকরা। আপনাদের ১৮ হাজার টাকা প্রাপ্য হলেও আপনারা এখন পাচ্ছেন অনেকটাই কম, কিন্তু এই টাকাটা আপনারা রাজ্য সরকারের লড়াই করার ফলেই পাচ্ছেন।
কৃষকদের স্বার্থে আমরা সর্বদাই লড়াই করবো। আমরা সর্বদা কৃষকদের পাশে রয়েছি।”