
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরার মাটিতে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। এই মর্মে যথেষ্ট বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দেবাংশুরা। ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো দেবাংশু দের। পুলিশ অভিযোগ করেছিল যে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, দোলা সেন কর্মীদের নিয়ে বিধিনিষেধ আইন লঙ্ঘন করেছে। খোয়াই থানায় পুলিশ আধিকারিক দের সাথে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতারা।
পুলিশকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে,”এই বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করার অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু থানার বাইরে যে ২ হাজার বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন?” পুলিশ আধিকারিক দের সাথে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ব্রাত্য বসু, কুনাল ঘোষ, এবং দোলা সেনরা । খোয়াই থানায় সমানে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনিও পুলিশ আধিকারিক দের সাথে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অভিষেক অভিযোগ করেছেন যে দেবাংশু দের গ্রেপ্তার করার পর থেকে সারা রাত তাদেরকে খেতে দেয়নি পুলিশ। এরপর আদালতে যুব তৃণমূল নেতাদের জামিন মঞ্জুর হয়। খোয়াই থানা থেকে বের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি ।
অভিষেক বলেছেন,”যদি ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ভেবে থাকে তৃণমূলকে এইভাবে ভয় দেখিয়ে মারধর করে আটকানো যাবে তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। তৃণমূলের উপরে যত আক্রমণ আসবে তৃণমূল আরো শক্তিশালী হবে। ততই আমাদের যেতে পারবে। অতিমারি বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করার অভিযোগে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে অথচ বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে, হাজার হাজার বিজেপি কর্মী থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে অথচ তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-বেফাঁস মন্তব্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সফর বাতিল হল মুকুল রায়ের।
এই বেআইনি কার্যকলাপ আর বেশিদিন চলবে না ত্রিপুরার মাটিতে। বিপ্লব দেবের সরকারকে কিভাবে উপড়ে ফেলতে হয় সেটা তৃণমূল ভালোভাবেই জানে। আগামী দেড় বছরে তৃণমূল লড়াই করে দেখাবে।”গতকাল খোয়াই চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা সহ অন্যান্যরা।
তেলিয়ামোরা থানার মামলাটি থেকে জামিন পেয়েছেন তাঁরা।