
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরার মাটিতে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রী এবং কর্মীসমর্থকরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরা পুলিশ। এর পরেই তাদেরকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হয় যেখানে তারা ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান। ত্রিপুরায় দেবাংশু দের গ্রেপ্তার করা মাত্র সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন প্রমুখেরা।
পুলিশ আধিকারিক দের সাথে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন ব্রাত্য বসু, কুনাল ঘোষ, এবং দোলা সেনরা । খোয়াই থানার ভীতরে সমানে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও পুলিশ আধিকারিক দের সাথে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অভিষেক অভিযোগ করেছেন যে দেবাংশু দের গ্রেপ্তার করার পর থেকে সারা রাত তাদেরকে খেতে দেয়নি পুলিশ।
এরপর আদালতে যুব তৃণমূল নেতাদের জামিন মঞ্জুর হয়। খোয়াই থানা থেকে বের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি ।গতকাল রাতেই ত্রিপুরা থেকে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত দের নিয়ে কলকাতা প্রত্যাবর্তন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই চিকিৎসার জন্য দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত কে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করান তিনি।
এদিকে হাসপাতাল চত্বর থেকে দেবাংশু কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির প্রতি। তিনি বলেছেন, “কলকাতা থেকে যারা যাচ্ছে তাদের উপরেই আক্রমণ করছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। ত্রিপুরার মাটিতে গুন্ডারাজ চালাচ্ছে বিপ্লব দেবের সরকার।”এছাড়াও কলকাতায় নেমেই দেবাংশু বলেছেন যে, “চিকিৎসার প্রয়োজনে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি।
সুদীপ, জয়া দি আক্রান্ত হয়েছেন। উনাদের চিকিৎসা দরকার। কিন্তু আগামী দিনে আবার ত্রিপুরায় যাব। সেখানে গিয়ে আবার সংগঠন দৃঢ় করব। আগামীদিনের ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করে তৃণমূলের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
এর পাশাপাশি ত্রিপুরার মাটিতে সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব দের পাশেও আমরা থাকবো ।”