
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে সর্বশক্তি দিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখলের যুদ্ধে আসীন হয়েছিলো সিপিএম। কিন্তু কংগ্রেস এবং আইএসএফকে জোট করেও সিপিএমকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এই প্রথম বিধানসভা সিপিএম বিধায়ক শূন্য । যা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার ভোটে পরাজয়ের পর থেকেই আত্মসমালোচনায় নিমগ্ন হয়েছে সিপিএম।এদিকে রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। সংযুক্ত মোর্চার মধ্যে আসন বণ্টনের বিষয়ে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তাতে ভবানীপুর এবং শান্তিপুরে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। সামশেরগঞ্জ আসনে সিপিএম এবং কংগ্রেস উভয়েই প্রার্থী দিয়েছে ।
আরও পড়ুন-“অজন্তাকে ব্ল্যাকমেল করছে সিপিএম”- অভিযোগ করলেন কুনাল ঘোষ
সামশেরগঞ্জে আসনটিতে প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল, তাই এই আসনটি ছাড়তে চাইছে না সিপিএম এবং কংগ্রেস দুপক্ষই । এদিকে ভবানীপুরে প্রার্থী দেবেন না বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী কিন্তু তিনি শান্তিপুর এবং সামশেরগঞ্জ কংগ্রেস প্রার্থীদের দাঁড় করানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই বিষয়ে কংগ্রেসের সাথে আলোচনা করতে চেয়েও বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে জোট ঘিরে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে যথেষ্ট ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে ঘাটালে আরও বড় ক্ষতি হতো। শুভেন্দু মিথ্যা কথা বলছেন”- দাবি করলেন সেচমন্ত্রী
এই আবহের মধ্যেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে থাকার ডাক দিলো বামফ্রন্ট। গতকাল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে গেলে এবার তৃণমূলকে অবশ্যই সাথে নিতে হবে। গোটা দেশে বিরোধী শক্তি গুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা এলে অনেকটাই সুবিধা হবে এই লড়াইয়ে। রাজ্যের থেকে দিল্লির ক্ষমতা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
তাই বিজেপিকে দিল্লি থেকে হটিয়ে দিতে পারলে আমাদের লড়াই আরো সহজ হবে। তারপরেই সমস্ত রাজ্যে রাজ্যে লড়াইয়ে আমরা অবতীর্ণ হবো। রাজ্যে আমাদের যা নীতি ছিলো, সেটা অপরিবর্তিত থাকবে। বাংলায় আমরা বিজেপি আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।”