
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। জল্পনা চলছিলো অনেকদিন থেকেই। গত ২০১৭ তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন মুকুল রায় । কিন্তু তাঁকে বিজেপিতে কখনোই অতি সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি।
এছাড়াও একুশের ভোট প্রচারেও তাঁর উপস্থিতি ততটা সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি। কয়েকদিন আগেই তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর পর থেকেই তৃণমূলে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছিলো। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় কয়েকদিন আগেই বিজেপিকে আত্মসমালোচনার পাঠ দিয়েছিলেন।
এছাড়াও অনেক আগে থেকেই মুকুল রায়ের বেসুরো মনোভাব নজর এড়ায়নি কারোরই। অবশেষে সমস্ত জল্পনা সত্যি করে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। তবে তিনি এখনো কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিজেপি বিধায়ক পদে আসীন রয়েছেন। এবার এই বিধায়ক পদ কি তিনি ছাড়তে চলেছেন ? তা নিয়ে বিস্তর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
মুকুল রায় জানিয়েছেন যে, তিনি এখনই বিজেপির বিধায়কপদ ছাড়বেন না। আগামী ২ রা জুলাই বিধানসভা অধিবেশনে তিনি যোগদান করবেন। তারপর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন তিনি বিধানসভার স্পীকারের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবী জানাবেন।
আরও পড়ুন-শুভেন্দু অধিকারীর সাথে বৈঠক করার পরেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন রাজ্যপাল
এদিকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “দলত্যাগ বিরোধী আইন পার্লামেন্টে পাস হয়েছে এটা সবার জন্য লাগু হওয়া উচিত। বিধানসভায় যখন দলত্যাগের ঘটনা ঘটে তখন স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপরই অনেকটা গুরুত্ব থাকে। গত বছর যখন সিপিএম কংগ্রেস ছেড়ে বহু বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তখন তাদের বিরুদ্ধে অনেকেই কেস করেছিলেন কিন্তু স্পিকার কোনো ব্যবস্থা নেননি।
যার ফলে আরও ব্যাপক সংখ্যায় বহু বিধায়ক আমাদের পার্টিতেও চলে এসেছিল। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য এই ধরনের আইন পাস করানো হয়েছে। বহু মানুষের সমর্থন নিয়ে জিতে যাওয়ার পর সেই দল ছেড়ে চলে যাওয়া একদমই ঠিক নয়। মুকুল বাবু গিয়েছেন ঠিকই আছে।
কিন্তু উনার অবিলম্বে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার উচিৎ।”