
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সরকারের উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জটিলতার মধ্যে আটকে রয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে ইন্টারভিউ নেওয়া হলেও এখনই কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের হয়, তখনই হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
এই আবহের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে বাংলার রাজ্য সরকার।রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে খুব শীঘ্রই রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। এই মর্মে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। রাজ্য সরকার সম্মতি জানালেই ৩৮০০ টি শূন্যপদে মাদ্রাসা গুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন-বাইক চালকদের জন্য এক নতুন নির্দেশিকা নিয়ে হাজির হল কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে ভারতে এখনো পর্যন্ত ৬১৪ টি মাদ্রাসা বর্তমান। এর মধ্যে কয়েক বছর ধরে বহুসংখ্যক শূন্যপদ মাদ্রাসাগুলিতে সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলি হয়ে গিয়েছেন আবার অনেক শিক্ষকরা ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। গত ২০১৪ সাল থেকেই মাদ্রাসায় নিয়োগটি যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-আবার তাণ্ডব পাকিস্তানের হিন্দু মন্দিরে। পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের।
এই শূন্যপদ গুলিতে দ্রুত নিয়োগ করতে চাইছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। এই মর্মে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।জানা গিয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী মহম্মদ গোলাম রব্বানী বলেছেন, “রাজ্য সরকার সম্মতি দিলেই প্রথম দফায় ২৮৭ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, ৮১ জন শারীরশিক্ষক এবং ১০৯ জন কর্মশিক্ষক নিয়োগ করা হবে।”