
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতি বছর বন্যার মুখোমুখি হয় ঘাটাল। প্রত্যেক বছরই খানাকুল এবং ঘাটাল বাঁধভাঙ্গা বন্যায় ভেসে যায়। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এবং সেইসাথে ডিভিসি মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন তাদের নিজস্ব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য।
গতকাল বুধবার ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি জলবন্দী মানুষজনের দুর্দশার ছবিটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। সচরাচর কখনো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন না অভিনেতা দেব। কিন্তু ঘাটালবাসীর জল যন্ত্রণা দেখে চুপ করে থাকতে পারলেন না অভিনেতা।
আরও পড়ুন-সংসদের ওয়েলে নেমে হাঙ্গামা করায় সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হল তৃণমূলের ৬ সাংসদকে
বহুদিন ধরে পড়ে থাকা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত না হওয়ার দরুণ কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন তিনি।ঘাটালের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। আর এই শিলাবতী নদীতে একটু জল বেড়ে গেলেই বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, কেশপুর, চন্দ্রকোনা সহ বেশিরভাগ জায়গাগুলি। গত ১৯৮২ সালে এই বন্যা পরিস্থিতি দূর করার জন্য ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
কিন্তু তখন থেকেই এখনো পর্যন্ত এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি।গতকাল নৌকায় চেপে ঘাটালের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ দেব। গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব বন্যাদুর্গতদের বিলি করেছেন ত্রাণ সামগ্রী।
আরও পড়ুন-“বিজেপির বিদায় আসন্ন, ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল”- মন্তব্য কুণাল ঘোষের
তিনি দুর্গতদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি সবসময় তাদের পাশে থাকবেন। গতকাল দেব ঘাটাল মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে প্রথমে একটি বৈঠক করেছেন। তারপর তিনি খালি পায়েই কাদায় নৈমে বন্যা দূর্গতদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁর এই মানবিক রূপ দেখে সমস্ত রাজ্যবাসী যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন।
অভিনেতা দেব বলেছেন, “যতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন না হবেন ততদিন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।”