
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল প্রশাসনিক কর্তা এবং জেলাশাসকদের সাথে একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে নবান্নে। এই বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছে যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির শিবির ছাড়া অন্য কোথাও থেকে কোনরকম প্রকল্পের ফর্ম বা আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে না।জানা গিয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায় অন্য জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদনপত্র বিলি করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিকরা।
এর ফলে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে এই ফর্ম বিলি করার পরিপ্রেক্ষিতে যদি কোনো রাজনৈতিক প্রভাব থেকে থাকে তাহলে অবিলম্বে সেই বিষয়টি সমাপ্ত করতে হবে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে উপভোক্তারা তাদের চাহিদা মতো বিভিন্ন প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রকল্প গুলির জন্য কি কি নথি দরকার অথবা কিভাবে সেই ফর্ম পূরণ করতে হবে সমস্ত কিছু ক্যাম্পে থাকা আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল মুখ্যসচিবকে ফোন করে এই মর্মে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে আউটস্ট্যান্ডিং পুরস্কার দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এরপরই গতকাল নবান্নে উক্ত বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।এছাড়াও একজন প্রার্থী একসাথে যাতে বেশকিছু প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা দিতে না পারেন সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত পুরসভার মত জায়গাগুলিতে এই ক্যাম্প করতে নিষেধ করা হয়েছিল , জানা গিয়েছে এবারেও এই একই নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। নবান্নে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রাজ্যে যে সমস্ত জায়গা বন্যা কবলিত হয়েছে সেই সমস্ত দুর্দশাগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসানো হবে।
আরও পড়ুন-অফলাইনে পঠন-পাঠনের দাবি তুলে যাদবপুরের রাস্তায় প্রতীকী ক্লাস নিয়ে বিক্ষোভ দেখালো এসএফআই
এবারের দুয়ারে সরকারের নতুন প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার। এই প্রকল্পে মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা ভাতা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের ফর্ম দুয়ারে সরকারের কাছ থেকেই পাওয়া যাবে এবং ফর্ম পূরণ করতে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি হলে সেটা ক্যাম্পে উপস্থিত আধিকারিকরাই দেখবেন। এবারের ফর্ম ইংরাজি, বাংলা দুটি ভাষাতেই ছাপা হয়েছে জনগণের কথা চিন্তা করে।